শাহিনবাগের (Shaheen Bagh) প্রতিবাদীদের সরানোর আর্জি মার্চ পর্যন্ত মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত জানাল, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে তাপমাত্রা কম রাখতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রেরিত প্রতিনিধিদের রিপোর্ট একটি মুখবন্ধ খামে জমা পড়ার পর এদিন মামলার শুনানি মুলতুবি রাখল সুপ্রিম কোর্ট। দুই বর্ষীয়ান আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে ও সাধনা রামচন্দ্রন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, শাহিনবাগের অবরুদ্ধ রাস্তা খোলার চেষ্টায় ওই আলোচনা। শাহিনবাগের প্রতিবাদের খবর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই প্রতিবাদ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে।
প্রায় দু'মাস ধরে শাহিনবাগে সিএএ-র প্রতিবাদে শয়ে শয়ে মহিলা-শিশু ও পুরুষরা অবরোধ করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টে যাঁরা পিটিশন জমা দিয়েছেন তাঁদের একজন শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের চলার পথ অবরুদ্ধ করে বেআইনি ভাবে অবস্থান করছেন প্রতিবাদীরা। তাঁদের তুলে দেওয়া হোক।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিক দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।