தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From May 15, 2020

পথে নামা পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্যগুলোকেই: সুপ্রিম কোর্ট

Coronavirus: কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা সর্বোচ্চ আদালতকে জানান যে, ইতিমধ্যেই পরিযায়ীদের ফেরাতে পরিবহণের ব্যবস্থা করেছে সরকার

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Coronavirus Lockdown: অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরতে রাস্তা ধরেই হাঁটা শুরু করেছেন

Highlights

  • পরিযায়ীদের কীভাবে রাস্তা ধরে হাঁটা থামানো যাবে, সিদ্ধান্ত নিক রাজ্যগুলোই
  • এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট
  • কেন্দ্র এই পরিযয়ীদের জন্যে খাবার ও জলের ব্য়বস্থা করুক, করা হয় আবেদন
নয়া দিল্লি:

লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) রাস্তা ধরে হাঁটার বিষয়টির দিকে নজর রাখুক রাজ্যগুলোই, দেশের রাজ্য সরকারগুলোর দিকেই বল ঠেলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত (Supreme Court) বলেছে, "কোন পরিযায়ী শ্রমিক কখন রাস্তায় হাঁটছে সেদিকে আদালতের খেয়াল রাখা অসম্ভব"। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা সর্বোচ্চ আদালতকে জানান যে, ইতিমধ্যেই পরিযায়ীদের ফেরাতে পরিবহণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। যাঁরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার ও জল সরবরাহ করা উচিত কেন্দ্রের, এই মর্মেই শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন জমা পড়ে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালত শুক্রবার জানায় যে, কখন কোন শ্রমিক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন সেদিকে নজর রাখা সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্টও কড়া ভাষায় বলেছে: "রাজ্যগুলিকেই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। আদালত কেন এগুলো শুনবে বা সিদ্ধান্ত নেবে?" আইনজীবী  অলোক শ্রীবাস্তব তাঁর আবেদনে বলেছিলেন যে আদালত কেন্দ্রকে নির্দেশ দিক যাতে রাস্তায় হাঁটতে থাকা পরিযায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের খাবার ও আশ্রয় দেওয়া যায়।

ওই আইনজীবী মহারাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন, যেখানে একটি মালগাড়ির তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন, "যখন কেউ রেললাইনের উপরেই ঘুমিয়ে পড়েন তখন কীভাবে আটকানো যাবে এই ঘটনা? এমন লোক রয়েছে যারা হেঁটেই চলেছেন এবং কোনও বারণ শুনছেন না। আমরা কীভাবে তাঁদের আটকাতে পারি?" 

লকডাউন ৪.০: নির্বাচিত এলাকার মধ্যে চলতে পারে বিমান, বাস ও স্থানীয় পরিবহণ

Advertisement

এদিকে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা সর্বোচ্চ আদালতকে জানান যে, ইতিমধ্যেই পরিযায়ীদের ফেরাতে পরিবহণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। কিন্তু সেই ব্যবস্থার জন্যে অপেক্ষা না করেই বহু শ্রমিক রাস্তা দিয়েই হাঁটা শুরু করেছেন। 

"রাজ্যগুলোর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফেরার সুযোগ পাবে। কিন্তু সেসব কথায় কান না দিয়েই তাঁরা রাস্তা ধরে হাঁটা শুরু করেছেন। এখন তাঁদের আটকাতে যদি বল প্রয়োগ করা হয় তাহলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া হতে পারে", সুপ্রিম কোর্টে একথাও বলেন সরকারের শীর্ষ আইনজীবী।

Advertisement

পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে যথেষ্ট ট্রেনের ব্যবস্থা করেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার: রেলমন্ত্রী

লকডাউনের কারণে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। হতাশায় তাঁরা নিজের বাড়ি ফেরার জন্যে রাস্তা দিয়ে বা রেললাইন দিয়েই হাঁটা শুরু করেন। অনেকে আবার কোনওরকমে অটো বা অন্য পরিবহণ জোগাড় করে গাদাগাদি অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথ বেছে নিয়েছেন। কেউ কেউ ফিরছেন সাইকেলেও।

Advertisement

এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। যাতে বলা হয়েছে যে প্রতিটি রাজ্যকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যাতে "পরিযায়ী শ্রমিকরা কোনওভাবেই সড়কপথ ধরে বা রেল লাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা না করেন। রাজ্যগুলোকেই এব্যাপারে তাঁদের বোঝাতে হবে এবং তাঁদের খাবার ও আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি তাঁদের আশ্বস্ত করতে হবে যে তাঁরা হেঁটে নয়,  বিশেষ ট্রেনে করেই ঘরে ফিরতে পারবেন" ।

Advertisement