সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে হবে কেন এ ধরনের মামলায় ৩৭৭ ধারা প্রয়োগ করা হয়নি!
হাইলাইটস
- বিহারের শিশু আবাসে যৌন হেনস্থার ঘটনায় তোপ দাগল সুপ্রিম কোর্ট
- মুজফফপুরের শিশু আবাসে কয়েকটি ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে
- বিহারের মুখ্যসচিবের কাছ থেকে উপযুক্ত ব্যাখ্যাও চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট
নিউ দিল্লি: সুপ্রিম তোপে বিহার সরকার। বিহারের শিশু আবাসে যৌন হেনস্থার ঘটনায় প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের না করায় নীতীশ প্রশাসনের সমালোচনা করল শীর্ষ আদালত। মুজফফপুরের একটি শিশু আবাসে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি চলছে আদালতে। সেই শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এ ধরনের মামলাকে ঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না বিহার সরকার। পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা করেছে বিহার সরকার। কিন্তু ৩৭৭ ধারা প্রয়োগ করেনি। আদালতের মতে এটা ঠিক হয়নি। তবে মাত্র কয়েকদিন আগে আংশিক ভাবে ৩৭৭ ধারা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট।
বিউটি পার্লারে মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত তিন
ব্রিটিশ আমলের এই ধারা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিতর্ক হচ্ছে। আগে এই আইন বলবৎ থাকায় সমকাম অপরাধ ছিল। এখন আরে নেই। তবে ওই আইনের কয়েকটি ধারা এখনও বহাল রয়েছে। তার মধ্যে জোর করে স্মমতি আদায় করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার আছে। এই আইন বলছে শিশুর সঙ্গে এমন কিছু করলে শাস্তি পেতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট মনে করে বিহারের ঘটনাতেও এই ধারাতেই মামলা দায়ের করা উচিত ছিল।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ৩৭৭ ধারায় মামলা দায়ের না হওয়ায় তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যহত হতে পারে। এরপরই আদালত বলে, শিশু যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছে আর আপনারা বলছেন সোমবার এফআইআর দায়ের হবে? মামলা দায়ের করে শিশুদের সুবিধা করে দিচ্ছেন নাকি! শিশুরা কি দেশের নাগরিক নয়?
প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতে ধর্ষণের অভিযোগ করেন মহিলারা, দাবি মনোহরের
শুধু তোপ দাগা নয় ব্যাখ্যাও চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিহারের মুখ্যসচিবকে সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে হবে কেন এ ধরনের মামলায় ৩৭৭ ধারা প্রয়োগ করা হয়নি!
দেখুন আজকের বিশেষ বিশেষ খবরের ভিডিও: