Read in English
This Article is From Aug 02, 2018

বিহারে শিশুধর্ষণঃ কঠোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সের পক্ষ থেকে গত জুন মাসে প্রকাশিত রিপোর্টের মাধ্যমে  ওই আবাসিক হোমের শিশুদের প্রবল দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থার কথা তুলে ধরা হয়

Advertisement
অল ইন্ডিয়া
Patna:

বিহারের মুজাফফরপুরের আবাসিক হোমে ভয়াবহ শিশুধর্ষণের ঘটনা সামনে আসার পর শুধু গোটা দেশই নয়, নড়েচড়ে বসল শীর্ষ আদালতও। আজ কেন্দ্রীয় সরকার সহ দেশের সমস্ত  রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তি জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শিশুকন্যাদের স্পষ্টতই দুশ্চিন্তায় থাকা সুপ্রিম কোর্ট জানাল এখন থেকে শিশুদের মর্ফড ছবি প্রকাশ করা আর অনুমোদন করা হবে না।  30 জনেরও বেশি নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা,  যা গোটা দেশকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট আজ সেই বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই মন্তব্য করল। গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ঘটে চলা ওই ঘটনাটির যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে আদালতে, সেখানে পুলিশ, রাজনীতিবিদ, প্রশাসক, সমাজবিরোধী থেকে নাম আছে প্রায় সকলেরই। 

টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সের পক্ষ থেকে গত জুন মাসে প্রকাশিত রিপোর্টের মাধ্যমে  ওই আবাসিক হোমের শিশুদের প্রবল দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থার কথা তুলে ধরা হয়।

আদালত জানিয়েছে, ধর্ষিত বা অত্যাচারিত শিশুদের সাক্ষাৎকারও বারবার নিতে পারবে না সংবাদমাধ্যম। আদালতের কথায় তাতে ওই আক্রান্ত শিশুদের প্রতি মানসিক চাপ পড়ে। 

Advertisement

এই আবাসিক হোমের যিনি মালিক, সেই ব্রিজেশ ঠাকুর (55)-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তাতে নাম আছে তারও। ওই ব্যক্তি 'প্রাতঃ কমল" নামের স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের কর্ণধারও। রাজনৈতিক মহলেও অবাধ যাতায়াত এবং পরিচিতি তার।

গত কয়েকদিন ধরেই ওই ধৃত ব্যক্তির হাস্যমুখর ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা প্রবল সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।

Advertisement

ব্রিজেশ ঠাকুর বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান। এছাড়া, বেশ কয়েকটি রাজ্য কমিটির সদস্যও বটে। এছাড়া, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন, প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো এবং বিহারের সংসদীয় প্রেস কমিটির সদস্যও বটে। তার নামে এর আগে একাধিক ঘুষেরও অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement