Section 377: ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট
নিউ দিল্লি: ঐতিহাসিক মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দিল সমকাম অপরাধ নয়। এর আগে 2013 সালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় 377 (Section 377) খারিজ হচ্ছে না। এবার সেটাই হয়ে গেল, রায় ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র জানিয়ে দিলেন, সমকাম অপরাধ নয়। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই আইন অনুযায়ী অস্বাভাবিক যৌনতা অপরাধ। এই ধারা খারিজ কররা দাবিতে ফের মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই মামলাটি শুনেছে। এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আছেন বিচারপতি আর এফ নরিমান, এ এম খানউইলকার, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং ইন্দু মালহোত্রা। জুলাই থেকে শুরু হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া । আবেদনকারীরা ব্যক্তিগত অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
377 ধারা (Section 377) অনুযায়ী অস্বাভাবিক যৌনতা অপরাধ। সমকামিতাকে এরই অংশ হিসেবে ধরা হয়। সমকামও অপরাধ ছিল। 1861 সালের আইন অনুযায়ী এই অপরাধে 10 বছর পর্যন্ত জেল হতে পারত। কিন্তু এখন আর তা কার্যকর রইল না। সমকামীদের দাবি এই ধারা প্রয়োগ করে তাঁদের হেনস্থা করা হয়। মামলার আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল পাঁচ জন। এই পাঁচ জন হলেন ভারতনাট্যম শিল্পী নভতেজ সিং জোহার, সাংবাদিক সুনীল মেহেরা, রিতু ডালমিয়া, হোটেল ব্যবসায়ী অমন নাথ এবং আয়েশা কুমার।
শুনানিতে আবেদনকারীদের দাবি ছিল 377 ধারা ( Section 377) সংবিধানের মূল ধারার বিরোধী। এরকম একটা ধারা বলবত থাকলে সাম্যের অধিকার লঙ্ঘিত হয়, সুবিচার পাওয়ার আশাও থাকে না। তাছাড়া সংবিধান কোনও রকম বৈষম্যকে স্বীকার করে না। শুনানির সময় বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা জানান, পরিবার এবং সমাজের চাপে এ ধরনের মানুষদের অন্য লিঙ্গের সঙ্গে বিয়ে করতে হয় তাতে নানা রকম জটিলতা তৈরি হয়। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করবে না কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে 2013 সালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় 377 ধারা খারিজ হচ্ছে না। তারও বছর চারেক আগে 2009 সালে দিল্লি হাইকোর্ট জানায় 377 ( Section 377) সংবিধানের মূল ধারার পরিপন্থী। তবে সে যুক্তি মানতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট।