Ayodhya case: দশেরার জন্যে সপ্তাহ খানেকের বিরতির পরে সুপ্রিম কোর্ট ফের দৈনিক শুনানি শুরু করে
নয়া দিল্লি: অযোধ্যা মামলায় (Ayodhya case) দৈনিক শুনানির আজ (বুধবার) ৪০ তম দিন। আজ সন্ধে ৫ টায় রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলায় দৈনিক শুনানি শেষ হবে, জানালেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবারই ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ইঙ্গিত দেন যে, অযোধ্যাতে রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল রাম জন্মভূমি (Ram Temple) - বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) জমি বিরোধের দৈনিক শুনানির বিষয়টি আজই (বুধবার) শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেবেন রঞ্জন গগৈ। আশা করা হচ্ছে তার আগেই অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার প্রবীণ আইনজীবী কে পরাসরণ, এই বিরোধের অন্যতম পক্ষ রাম লালা বিরাজমান বা "শিশু ভগবান রাম" এর পক্ষ নিয়ে সওয়াল করতে উঠে বলেন যে হিন্দুরা শতাব্দী প্রাচীন এই জায়গাটিকে রামের জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করে লড়াই করে আসছে । পাশাপাশি তিনি এও যুক্তি দেন যে, প্রয়োজনে মুসলমানরা যে কোনও মসজিদে গিয়েই নমাজ পড়তে পারেন।
"মুসলমানরা অন্য যে কোনও মসজিদেও গিয়ে নমাজ পড়তে পারেন। শুধু অযোধ্যাতেই ৫৫ থেকে ৬০ টি মসজিদ রয়েছে। কিন্তু হিন্দুদের কাছে এটি ভগবান রামের জন্মস্থান। আমরা জন্মস্থান পরিবর্তন করতে পারি না" বলেন প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল পরাসরণ ।
দশেরার জন্যে সপ্তাহ খানেকের বিরতির পরে সুপ্রিম কোর্ট গত সোমবার থেকে ফের অযোধ্যা মামলার দৈনিক শুনানি শুরু করে।
মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছ থেকে এটা শোনা যায় যে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত নাকি অযোধ্যাতে এই জমির অধিকার নিয়ে হিন্দুদের পক্ষ থেকে কোনও দাবি তোলা হয়নি। তাই মুসলমানরা ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাবরি মসজিদটি ভেঙে দেওয়ার পর সেটিকে সেখানে পুনরায় স্থাপনের দাবি তোলেন।
অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম রায়ের সময় এগিয়ে আসায় অযোধ্যা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি
তবে এই অযোধ্যা মামলা নিয়ে বেশ জটিল পরিস্থিতি হতে পারে এই আশঙ্কা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার আগে থেকেই অযোধ্যাতে চার বা ততোধিক লোকের যে কোনও জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
অযোধ্যা জমি সমস্যা নিয়ে মধ্যস্থতা কমিটি কোনও রফাসূত্র করতে সক্ষম না হওয়ায় গত ৬ অগাস্ট থেকে ভারতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারকের সংবিধান বেঞ্চ এই মামলার দৈনিক শুনানি শুরু করে।
২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের চারটি দেওয়ানি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে ১৪টি আবেদন জমা পড়ে। এলাহাবাদ আদালত রায় দিয়েছিল যে, অযোধ্যার ২.৭৭ একর জমি সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লল্লা, এই তিনটি দলের মধ্যে সমানভাবে বিভক্ত করা উচিত।
Ayodhya Case: বাবরি মসজিদ আবার তৈরি হোক, সুপ্রিম কোর্টে আর্জি মুসলিমদের
অনেক হিন্দুই বিশ্বাস করেন যে এই স্থানটি ভগবান রামের জন্মস্থান ছিল এবং সেখানে একটি প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপর একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। ঘটনাস্থলে থাকা ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত বাবরি মসজিদটি ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাসে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন কিছু ডানপন্থী কর্মীরা। মসজিদ ধ্বংস হওয়ার ওই ঘটনায় সেই সময় দেশে প্রবল হিংসা ছড়ায়।
এই জমি সমস্যার সমাধানে বেশ কয়েকটি মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা চালানো হলেও কয়েক দশক পুরানো বিরোধের সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে সেগুলি।