জমি অধিগ্রহণ মামলা থেকে তাঁর সরে দাঁড়ানো উচিত, এই খবরে প্রথমে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন Justice Arun Mishra
নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র জমি সাফ জানালেন যে, তিনি জমি অধিগ্রহণ আইন (Land Acquisition Act) সম্পর্কিত একটি মামলার শুনানি থেকে সরে দাঁড়াবেন না। এই মামলায় তাঁর (Justice Arun Mishra) অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে যে তিনি তাঁর নিজের দেওয়া রায়কেই বহাল রাখার জন্যে সাংবিধানিক বেঞ্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে বিচারপতি মিশ্রের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এইসব সমালোচনাকে উপেক্ষা করেই ওই মামলায় বহাল থাকবেন তিনি। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) পাঁচ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চের হয়ে নেতৃত্বে থাকা বিচারপতি অরুণ মিশ্র জানিয়েছেন যে, "আমি এই বিষয়টির শুনানি থেকে বিরত হব না"। গত সপ্তাহে, বিচারপতি মিশ্র জমি অধিগ্রহণ আইন সম্পর্কিত যে বিষয়গুলির বিষয়ে রায় দিয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সাংবিধানিক বেঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর ও সোশ্যাল সাইটের পোস্টের মাধ্যমে। জমি অধিগ্রহণ মামলা থেকে তাঁর সরে দাঁড়ানো উচিত, এই ধরণের পোস্ট দেখে প্রথমে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পোস্ট এবং নিবন্ধগুলি কেবলমাত্র কোনও নির্দিষ্ট বিচারপতির বিরুদ্ধে নয়, একটি গোটা প্রতিষ্ঠানকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।
বিচারপতি অরবিন্দ বোবদেকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি করার সুপারিশ প্রধান বিচারপতির: সূত্র
কৃষক সংগঠন সহ কিছু আবেদনকারী বিচারপতি মিশ্রকে বিচার পদ্ধতিকে নিরপেক্ষ রাখার স্বার্থে তাঁকে ওই মামলা থেকে সরে যাওয়ার জন্যে অনুরোধ করেন, সেই সময় তিনি বলেন যে সাংবিধানিক বেঞ্চ তাঁর দেওয়া রায়কেই পরীক্ষা করে দেখছে।
পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রিজাইডিং জজ নিজের স্বাক্ষর করা আইন পর্যালোচনা করলে তাতে নিরপেক্ষতা বজায় থাকতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রবীণ আইনজীবী শ্যাম ডিভান। সেই সময় বিচারক বলেন যে "নিরপেক্ষতা" শব্দটি ব্যবহার করায় তিনি "আহত" এবং "অপমানিত" হয়েছেন।
গত বছরের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে শীর্ষ আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চ জমি অধিগ্রহণ সম্পর্কিত দুটি পৃথক রায় মূল্যায়ন করবে।
"প্রতিষ্ঠানের অখণ্ডতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে যদি কোনও ঝুঁকি থাকে তবে আমিই প্রথম ব্যক্তি হিসাবে এই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেব। কিন্তু আমি জানি যে আমি পক্ষপাতদুষ্ট নই এবং পৃথিবীর কোনও কিছুর দ্বারাই আমি প্রভাবিত হবো না। যদি আমার কখনো মনে হয় যে আমি পক্ষপাতদুষ্ট, তবেই আমি নিজেই এই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবো". বলেন বিচারপতি মিশ্র ।
১৫ জানুয়ারির মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করার বিধি: সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র
বিচারপতি মিশ্র সেই বেঞ্চের অংশ ছিলেন যে রায় দিয়েছিল যে আদালতে দীর্ঘকাল ধরে মামলা চলার মতো কারণে যদি জমির মালিকরা পাঁচ বছরের মধ্যে ক্ষতিপূরণ গ্রহণ না করে তাহলেও কোনও সরকারি সংস্থার জমি অধিগ্রহণ বাতিল করা যাবে না।