রাজ্যসভায় সারোগেসি (নিয়ন্ত্রণ) বিল খুঁটিয়ে দেখে পরামর্শ দিয়েছে ২৩ সদস্যের নির্বাচন কমিটি।
হাইলাইটস
- সারোগেসি (নিয়ন্ত্রণ) বিল খুঁটিয়ে দেখে পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি
- প্যানেলের মতে, সারোগেসির জন্য ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছাড়াও অন্যদের অনুমতি দিতে হবে
- বুধবার রিপোর্ট পেশ করল কমিটি
নয়াদিল্লি: একটি সংসদীয় প্যানেল পরামর্শ দিল, ‘সারোগেট' মা (Surrogate Mother) হতে গেলে কেবল ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হতে হবে তা নয়। যে কোনও মহিলাই যেন চাইলে এই পদ্ধতিতে (Surrogacy) মা হতে পারেন এমন অনুমতি দেওয়া হোক। রাজ্যসভায় সারোগেসি (নিয়ন্ত্রণ) বিল খুঁটিয়ে দেখে ১৫টি পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে ২৩ সদস্যের নির্বাচন কমিটি। সেই পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে ‘বন্ধ্যাত্ব'-র সংজ্ঞাও। নিয়মানুযায়ী পাঁচ বছর কোনও সুরক্ষা না নিয়ে শারীরিক মিলনের পরেও যদি কোনও দম্পতির সন্তান না হয়, সেক্ষেত্রে তাঁরা সারোগেসির সাহায্য নিতে পারেন। কিন্তু কমিটির মতে, পাঁচ বছর সময় এক দীর্ঘ সময়কাল। কোনও দম্পতির পক্ষে এতদিন অপেক্ষা করা বেশ কঠিন।
এছাড়াও কমিটির মতে, বিধবা কিংবা বিবাহবিচ্ছিন্না ‘একলা ভারতীয় মহিলা', যাঁদের বয়স ৩৫ থেকে ৪৫-এর মধ্যে, তাঁদেরও গর্ভদাত্রী বা ‘সারোগেট' মা হতে দেওয়া উচিত।
কমিটির মতে, ‘সারোগেট' মা হওয়ার জন্য ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছাড়াও অন্যদের অনুমতি দিলে এই ধরনের গর্ভধারণের সংখ্যা বাড়বে, যা সত্যিকারের সন্তানেচ্ছু দম্পতিকে উপকৃত করবে। তাই বিলে এব্যাপারে পরিবর্তন করার পরামর্শ দিচ্ছে কমিটি।
পাশাপাশি বিমার কভারেজও ‘সারোগেট' মায়েদের ক্ষেত্রে ১৬ মাসের পরিবর্তে ৩৬ মাস করার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
এই সারোগেসি (নিয়ন্ত্রণ) বিল রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার কথা। বিলটি রাজ্যসভায় পাঠানো হয় ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর। তারপর থেকে কমিটি এই বিল নিয়ে ১০টি বৈঠক করেছে। কমিটির চেয়ারম্যান ভুপিন্দর যাদব বুধবার রিপোর্ট পেশ করেছেন।
ওই রিপোর্টে কমিটি আরও জানায়, জন্মগত ভাবে শরীরে জরায়ুর অনুপস্থিতি, অকেজো জরায়ু, ক্যানসারের কারণে জরায়ু বাদ যাওয়া, ফাইব্রয়েডস কিংবা কোনও শারীরিক অসুস্থতার কারমে স্বাভাবিক ভাবে গর্ভধারণ সম্ভব না হলে সারোগেসিই যে একমাত্র অপশন তা চিকিৎসাগত ভাবে প্রমাণিত।
প্যানেল আরও প্রস্তাব পেশ করে, বিলে সেই ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সারোগেসির সুযোগ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক, যাঁদের কাছে সারোগেসি বোর্ডের সুপারিশের শংসাপত্র রয়েছে।