This Article is From Jul 14, 2018

'নজরদারি রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা', সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রের নজরদারি নিয়ে তোপ শীর্ষ আদালতের

দু'সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যাপারে কেন্দ্রের জবাবদিহি চেয়েছে শীর্ষ আদালত। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী 3 অগস্ট

'নজরদারি রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা', সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রের নজরদারি নিয়ে তোপ শীর্ষ আদালতের

তারা এই প্রকল্পটির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে 'দেশের প্রতি ইতিবাচক' দৃষ্টিভঙ্গির চেতনার বিকাশও ঘটাতে বদ্ধপরিকর

নিউ দিল্লি/ কলকাতা:

কেন্দ্রীয় সরকার কি গোটা দেশটাকে নজরদারি রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করছে? সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে এবং তার সাহায্য নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সবার গতিবিধির ওপর নজর রাখার চেষ্টা করছে- শীর্ষক যে অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মহুয়া মিত্র আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন, তার শুনানির দিন এই কথা জিজ্ঞাসা করল সুপ্রিম কোর্ট। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বের তিন বিচারপতির বেঞ্চ লক্ষ করেছে, "কেন্দ্রীয় সরকার হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ ট্যাপ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা একরকম নজরদারি অবস্থা তৈরির মতোই বিষয়'। 

দু'সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যাপারে কেন্দ্রের জবাবদিহি চেয়েছে শীর্ষ আদালত। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী 3 অগস্ট।

কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে অনলাইনের সব ধরনের নথি এবং তথ্যসমূহ সম্পূর্ণভাবে খতিয়ে দেখার জন্য যে 'সোশ্যাল মিডিয়া হাব' তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধেই রিট পিটিশন দাখিল করেন মহুয়া মৈত্র। তাঁর হয়ে আদালতে মামলাটি লড়ছেন তাঁর কৌঁসুলি অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ যদি আইনি লড়াইয়ের বাধা টপকে যেতে পারে, তাহলে দেশের সব প্রান্ত থেকে শেয়ার করা কনটেন্ট, সব ধরনের পোস্ট, টুইটের ওপর নজরদারি চালানোতে আর কোনও বাধা পেতে হবে না কেন্দ্রকে।

যদিও, খাতায়কলমে, এই সোশ্যাল মিডিয়া হাব তৈরির মূল উদ্দেশ্য হল, দেশের সমস্ত প্রান্ত থেকে সারাক্ষণ বিবিধ বিষয়ে যে যে পোস্ট করা হচ্ছে, তার প্রভাব সম্বন্ধে কেন্দ্রের অবগত হওয়া। 

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতি কোনওভাবে কার্যকর হলে তা, নিজেদের গোটা দেশ জুড়ে চিনের নজরদারির যে ক্ষমতা এবং নজরদারি চালানোর জন্য আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর অতি কুখ্যাত অস্ত্র 'প্রিজম'-এর থেকে কোনও অংশেই কম কিছু হবে না।

যদিও সরকারের লক্ষ্য যে শুধু নজরদারি করার ওপরেই সীমাবদ্ধ, তা নয়। তারা এই প্রকল্পটির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে 'দেশের প্রতি ইতিবাচক' দৃষ্টিভঙ্গির চেতনার বিকাশও ঘটাতে বদ্ধপরিকর। যে কারণে, সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, জাতীয়তাবাদী অনুভূতি কীভাবে মানুষের মনে প্রোথিত করা যেতে পারে এই প্রকল্পের মাধ্যমে, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।
 

.