Read in English
This Article is From Aug 05, 2020

সম্পর্ক ভাঙতে রিয়াকে চাপ দিতে বলেছিলেন সুশান্তের আইপিএস জামাইবাবু: মুম্বই পুলিশ

তিনি পাল্টা বলেছিলেন, এভাবে কাউকে থানায় ডাকা যায় না। আপনারা লিখিত অভিযোগ করুন, আমরা খতিয়ে দেখছি

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ ১৪ জুন উদ্ধার হয় বান্দ্রার আবাসনে থেকে।

মুম্বই :

সুশান্ত-রিয়ার সম্পর্ক ভাঙতে উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতার জামাইবাবু। বুধবার এমন দাবি করেছেন মুম্বই পুলিশের ডিসি পরমজিৎ সিং দাহিয়া। সুশান্ত সিং রাজপুতের জামাইবাবু ওপি সিং তাঁকে রিয়াকে চাপ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এই ওপি সিং হরিয়ানা পুলিশের আইপিএস পদমর্যাদার আধিকারিক। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এই অনুরোধ এসেছিল। সংবাদমাধ্যমের সামনে খোলসা করেন মুম্বই পুলিশের (Mumbai Police) এই কর্তা। তাঁর দাবি, ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ ও ২৫ তারিখ হোয়্যাটসঅ্যাপ করে এই অনুরোধ করা হয়েছিল। মিরান্ডা নামে একজনকে কয়েকদিন জেল খাটাতেও আমার কাজে দরবার করা হয়েছিল।

সুশান্তের পরিবারের মনে হয়েছে রিয়া তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই ওর জীবন থেকে রিয়াকে সরাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন অভিনেতার জামাইবাবু। যদিও, সেই আবেদন খারিজ করেছিলেন পরমজিৎ সিং।

তিনি পাল্টা বলেছিলেন, এভাবে কাউকে থানায় ডাকা যায় না। আপনারা লিখিত অভিযোগ করুন, আমরা খতিয়ে দেখছি। এদিকে, বাইপোলার ডিজঅর্ডারের জন্য চিকিৎসা চলছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের। তদন্তের স্বার্থে  চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গিয়েছে। সোমবার এই তত্ত্ব খাড়া করেছেন মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং। তিনি বলেছেন, "মৃত্যুর কয়েকদিন আগে সুশান্ত, তাঁর প্রয়াত প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়েনের নাম গুগলে খুঁজেছিলেন। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে নিজের নাম আর মানসিক অসুস্থতা সম্বন্ধে গুগলে খোঁজ করেছিলেন।" মুম্বই পুলিশের সিপি জানান, "এই তথ্য তাঁর ল্যাপটপ ও ফোন ঘেঁটে পাওয়া গিয়েছে।" তদন্তকারীদের অনুমান দিশা সালিয়ানের মৃত্যুতে তাঁর নাম উঠতে পারে। এই আশঙ্কা তিনি করেছিলেন। এমন দাবি করেছেন সিপি।

Advertisement