This Article is From Aug 07, 2019

সুষমা স্বরাজ, দলের ঊর্দ্ধে সবচেয়ে সম্মানীয়, ভালবাসার

Sushma Swaraj: বিদেশমন্ত্রী থাকাকালীন প্রত্যুত্তর এবং অপরের প্রতি সহানুভুতির জন্য প্রচুর প্রশংসা পেয়েছেন সুষমা স্বরাজ

সুষমা স্বরাজ, দলের ঊর্দ্ধে সবচেয়ে সম্মানীয়, ভালবাসার

সুষমা স্বরাজের (Sushma Swaraj) মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

হাইলাইটস

  • বিদেশমন্ত্রী হিসেবে অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন সুষমা স্বরাজ
  • দ্রুত উত্তর, ট্যুইটারে সাহায্য করার জন্য তিনি পরিচিত ছিলেন
  • ৭-এর দশকে তিনি আরএসএস এর ছাত্র সংগঠনে যোগদান করেন
নয়াদিল্লি:

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের (Sushma Swaraj) প্রয়াণে দেশবাসী শোকস্তব্ধ। দেশের শাসক বিজেপির সবচেয়ে শ্রদ্ধার ব্যক্তি ছিলেন তিনি এবং সম্ভবত বিদেশমন্ত্রী থাকাকালীন কাজের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় দিল্লির এইএমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। ২০১৬ তে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় এবং স্বাস্থ্যের কারণে এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেননি তিনি। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে যখন নরেন্দ্র মোদি শপথগ্রহণ করেন, তখনও তাঁকে (Sushma Swaraj) মন্ত্রী করা হবে বলে জল্পনা ছড়ায়। তবে তিনি দর্শকাসনে বসায় সেই জল্পনার অবসান ঘটে।

প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ প্রয়াত

সুষমা স্বরাজের (Sushma Swaraj) মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “ভারতীয় রাজনীতির একটি গৌরবজ্জ্বল অধ্যায়ের সমাপ্তি। একজন স্মরণীয় নেত্রী, যিনি জীবনেক উৎসর্গ করেছিলেন, সাধারণ মানুষের কাজ এবং দরিদ্রের কল্যাণে, তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশ। সুষমা স্বরাজজী এমন এক ধরণের মানুষ, যিনি কোটি কোটি মানুষের প্রেরণার উৎস ছিলেন”।

“অবিস্মরণীয় নেত্রীর প্রয়াণে ভারত মর্মাহত”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী মোদির

নরেন্দ্র মোদির প্রথম মন্ত্রিসভায় বিদেশমন্ত্রী ছিলন সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj)। বিদেশমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর প্রত্যুত্তর এবং অপরের প্রতি তাঁর সহানুভুতির জন্য প্রচুর প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিসার ক্ষেত্রে বিদেশদের নিয়ে ভারতের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আশার আলো রূপে তিনি (Sushma Swaraj) আবির্ভুত হয়েছিলেন। সংসদে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁর অসাধারণ বাগ্মীতা, দলের বাইরেও তাঁকে ভুয়শী প্রশংসা এনে দিয়েছিল।

g7845an4

অসহায় মানুষের প্রতি তাঁর সহানুভুতি ও দ্রুত প্রত্যুত্তের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসা পেয়েছেন সুষমা স্বরাজ. 

২০০৬-এ প্রমোদ মহাজনের মৃত্যুর পর, তাঁর সমসাময়িক নেতাদের মধ্যে তিনি (Sushma Swaraj) হয়ে উঠেছিলেন অন্যতম ব্যক্তিত্ত্ব। ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনে লালকৃষ্ণ আদবানির নেতৃত্বে তিনি নিজেকে এক উচ্চতায় নিয়েছিলেন। যদিও সেবার শাসক ইউপিএ সরকারকে হঠাতে ব্যর্থ হয় বিজেপি। লোকসভায় তাঁকে বিরোধীদলনেতা করেছিলেন লালকৃষ্ণ আদবানি। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হন নরেন্দ্র মোদি।

সহানুভুতিশীল, জবাবি সুষমা স্বরাজ ট্যুইটারে ছিলেন জনপ্রিয়

তৃতীয়বারে, ২০১২ গুজরাটে জয়ের পর, চিত্রনাট্যের বদল হয়। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীই একমাত্র দলকে নেতৃত্ব দিয়ে, দেশজুড়ে তাদের ব্যাপক প্রচার ছড়িয়ে দিতে পারবে বলে মনে করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ।

২০১২-এর জুনে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সমর্থনে নরেন্দ্র মোদিকে প্রচার কমিটির প্রধান ঘোষণা করেন তৎকালীন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং। এই পদক্ষেপটিই ছিল গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার পদক্ষেপ। সেই সময় এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন লালকৃষ্ণ আদবানি, সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj), মুরলি মনোহর জোশী। তবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তাঁরা

.

sushma swaraj pti

দলের বাইরে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা ছিল বহু নেতার

যাইহোক, বিদেশমন্ত্রী পদে থাকাকালীন, দলের সমর্থনের বাইরেও তাঁর (Sushma Swaraj) জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার.,  রাতে তাঁর মৃত্যুর পর, রাহুল গান্ধি ট্যুইট করেন, “সুষমা  স্বরাজজীর মৃত্যুর খবরে আমি মর্মাহত, একজন অসাধারণ রাজনৈতিক নেত্রী, একজন সুবক্তা, এবং একজন ব্যতিক্রমী সাংসদ, দলের বাইরেও সদ্ভাব রাখা মানুষ। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি”।

বিদেশমন্ত্রী থাকাকালীন পাসপোর্ট পরিকাঠামোয় পদক্ষেপ এবং পূর্বের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত করা তাঁর অন্যতম কাজ। ইন্দিরা গান্ধির পর তিনিই দ্বিতীয় মহিলা হিসেবে বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ব্যাপকভাবে বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন ইন্দিরা গান্ধি।

আজ পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সুষমা স্বরাজের

১৯৫৩ সালে হরিয়ানায় জন্ম সুষমা স্বরাজের (Sushma Swaraj)। আইন নিয়ে পড়াশোনা করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন ১৯৭৫-৭৭-এ জরুরি অবস্থার সময়ে সংঘ পরিবারের ছাত্রসংগঠনে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু।

হরিয়ানা সরকারের তিনি ছিলেন কনিষ্ঠতম মন্ত্রী, দিল্লির প্রথম  মহিলা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj)। পাশাপাশি দেশের একটি জাতীয় দলের তিনি হন প্রথম মহিলা মুখপাত্র।

বহু মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj)। ১৯৭৭-এ তিনি সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রমন্ত্রী হন। দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচার, এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায়। ১৯৯০ সাল তিনি সাংসদ হন।

জম্মু কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে মঙ্গলবার শেষ ট্যুইট করেন সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj)। তিনি লেখেন, “ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার জীবনে এই দিনটি দেখার অপেক্ষায় ছিলাম”।

সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj) রেখে গেলেন মিজোরামের প্রাক্তন রাজ্যপাল স্বামী স্বরাজ কুশল এবং মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজকে।

.