রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা জানানোর সময় স্যালুট দিতে দেখা যায় সুষমা স্বরাজের স্বামী ও কন্যাকে
নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার রাতে খবরটা (Sushma Swaraj News) ছড়িয়ে পড়তে দেশজুড়ে শোকে আবহ তৈরি হয়। প্রিয়নেত্রীকে চোখের জলে বিদায় জানান দেশবাসী। সকাল থেকেই, প্রথমে প্রয়াত নেত্রী তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর বাড়ি এবং পরে, বিজেপির সদর দফতরে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। শ্রদ্ধেয় নেত্রীকে শেষশ্রদ্ধা জানান তাঁরা। শেষকৃত্যের প্রস্তুতি হতেই, স্যালুট দিয়ে সুষমা স্বরাজকে (Sushma Swaraj) শেষবিদায় জানানোর কথা বলতে শোনা যায় প্রয়াত নেত্রীর স্বামী স্বরাজ কৌশল এবং কন্যা বাঁশুরি স্বরাজকে। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সুষমা স্বরাজের (Sushma Swaraj) শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়।, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদি, একজন “সহানুভুতিশীল” এবং “স্মরণীয় নেত্রী” বলে বর্ণনা করেছেন, পাশাপাশি বহু দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তিনি এবং “বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে থাকা সমস্যায় পড়া ভারতবাসীকে সাহায্য করেছেন”।
সুষমা স্বরাজের প্রয়াণের পরে আবেগঘন টুইট বার্তা স্মৃতি ইরানির
বিদেশমন্ত্রী (Sushma Swaraj) হিসবে, বিদেশে বিপদে বা মৃত্যু হলে, তাঁর দেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করা বা ভারতে চিকিৎসার জন্য ভিসা পাওয়ার জন্য সাহায্য চাইলে তিনি তা করতে কার্পণ্য করেননি। বুধবার সকালে নয়াদিল্লির যন্তরমন্তরে সুষমা স্বরাজের বাড়িতে ভিড় করেল দলমত নির্বিশেষ বহু মানুষ।বাঁশুরি স্বরাজকে সবমবেদনা জানান কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধি, লালকৃষ্ণ আদবানি, প্রতিভা আদবানিরা।
ছাত্রাবস্থায় দেখা হয়েছিল সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj) এবং স্বরাজ কৌশলের, পরে তাঁরা বিয়ে করেন। ৪৭ বছরের সাংসারিক জীবন কাটিয়েছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর পাশাপাশি ১৯৯০-এ মিজোরামের রাজ্যপাল হন স্বরাজ কৌশল।
সুষমা স্বরাজ, দলের ঊর্দ্ধে সবচেয়ে সম্মানীয়, ভালবাসার
গত নভেম্বরে, রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা করেন সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj)। সেই সময় তাঁকে “ধন্যবাদ” জানিয়ে ট্যুইটারে প্রশংসা পেয়েছিলেন তাঁর স্বামী স্বরাজ কৌশল। তিনি বলেন, “এমনকী, মিলখা সিংকেও দৌড় থামাতে হয়েছিল”।
নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে সুষমা স্বরাজের (Sushma Swaraj) স্বামী লেখেন, “এই দৌড় শুরু হয়েছে ১৯৭৭-এ—৪১ বছর হয়ে গেল। ১১টি প্রতক্ষ্য নির্বাচনে তুমি অংশ নিয়েছো। এমনকী, ১৯৭৭ থেকে সবকটি নির্বাচনেই তুমি অংশ নিয়েছো, শুধুমাত্র দুবার, ১৯৯১ এবং ২০০৪-এ তোমায় দল দাঁড়াতে দেয়নি”।