This Article is From Aug 07, 2019

প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ প্রয়াত

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াননি সুষমা স্বরাজ, এবং নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভাতেও আসেননি। বছর তিনেক আগে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।

নয়াদিল্লি:

মঙ্গলবার রাতে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj)। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেত্রীর আকশ্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দেশবাসী।বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে থাকা কোনও ভারতীয়কে ট্যুইটে জবাব দিতেন তিনি, ফলে সোশ্যাল সাইটে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন এই নেত্রী। সুষমা স্বরাজের (Sushma Swaraj) মৃত্যুকে “ব্যক্তিগত ক্ষতি” বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় রাজনীতির গৌরবময় অধ্যায়ের সমাপ্তি”। এদিন সন্ধ্যায় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে দিল্লির এইএমস হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে যান দলীয় নেতারা। প্রথমেই হাসপাতালে পৌঁছান নীতিন গড়করি, হর্ষ বর্ধন, রাজনাথ সিং এবং স্মৃতি ইরানি।

বছর তিনেক আগে, তাঁর (Sushma Swaraj) কিডনি প্রতিস্থাপন  করা হয়। সম্প্রতি তাঁর শারিরীক অবস্থা ভাল ছিল না। শারিরীক কারণে, সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেননি তিনি। মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে, জম্মু কাশ্মীর নিয়ে সরকারের পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবিনন্দন জানান সুষমা স্বরাজ। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “৩৭০ ধারা প্রত্যাহারে তিনি খুশি ছিলেন, বাড়ি ফিরে আমি তাঁর ট্যুইট পড়েছি”।

প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটে লেখেন, “একজন স্মরণীয় নেত্রীর মৃত্যুতে ভারত শোকস্তব্ধ”। তিনি লেখেন, “ অনেক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। একজন মন্ত্রী হিসেবে, আমরা তাঁর সহানুভুতিশীল দিকটাও দেখেছি, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে থাকা বিপদে পড়া ভারতবাসীকে তিনি সাহায্য করেছেন”। 

বিদেশমন্ত্রী হিসেবে সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj), বিদেশে থেকে বিপদে পড়া আত্মীয়দের সঙ্গে বাড়ির লোকদের যোগাযোগ করিয়ে দিতেও সাহায্য করেছেন। বিদেশ নাগরিকদের ভারতে চিকিৎসার ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সাহায্য করেছেন তিনি।   

Advertisement

তাঁর (Sushma Swaraj) দয়ালু চিত্ত, আন্তরিকতা এবং নরম মনোভাব বহু মানুষের মন ছুঁয়েছে এবং যখনই সমাধান হয়েছে, তখনই ট্যুইটারে ধন্যবাদে ভরেছে ট্যুইটার।    

তাঁর শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেন, সুষমা স্বরাজের (Sushma Swaraj) “আকর্ষণীয় ছিলেন ব্যক্তিত্ত্ব, সাহসিকতা এবং জনজীবনে অখণ্ডতায়”। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “অন্যকে সাহায্য করার সদিচ্ছা এবং ভারতের মানুষের জন্য তাঁরা কাজের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন”। 

সুষমা স্বরাজকে (Sushma Swaraj) “বিচক্ষণ সাংসদ, বাগ্মী এবং অসাধারণ মানবিক নেত্রী” বলে বর্ণনা করেছেন।তিনি ট্যুইটে লেখেন, “তাঁর কাজছিল অনেত উচ্চতাসম্পন্ন”।

Advertisement

সুষমা স্বরাজের (Sushma Swaraj) মৃত্যুকে শোকজ্ঞাপন করেছেন রাহুল গান্ধিও।

তিনি ছিলেন ৯ বারের সাংসদ, বাগ্মী নেত্রী এবং দক্ষণ প্রশাসক। ১৯৭৭ সালে তিনি হরিয়ানার সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হন।  

১৯৭০ সালে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যা হিসেবে রাজনৈতি শুরু করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন আইনজীবী সুষমা স্বরাজ।

Advertisement

২০০৬-এ প্রমোদ মহাজনের মৃত্যুর পর, পরবর্তী প্রজন্মের নেতাদের মধ্যে তিনি উঠে আসেন।

 

Advertisement