ওই হানায় প্রাণ হারিয়েছিল ২৪ জন আধাসামরিক বাহিনীর কর্মী। (ছবি প্রতীকী)
কলকাতা: ২০১০ সালে ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলসের শিবিরে মাওবাদী হানায় প্রাণ হারিয়েছিল ২৪ জন আধাসামরিক বাহিনীর কর্মী। সেই হানার অভিযুক্ত বিক্রম ওরফে অর্ণব দাম ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের শিলদায় ওই হানার অভিযোগে জেলে ছিল সাত বছর। যে হানাকে পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বড় মাওবাদী হানা হিসেবে মনে করা হয়। তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি এম মণ্ডলের বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, এই মামলাটির শুনানি নিয়ে দীর্ঘ বিলম্বের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিল আদালত। । পিটিশনারদের ১০ হাজার টাকা পাঁচটি বন্ড দিতে হবে বলেও জানায় কলকাতা হাইকোর্ট।
অর্ণব দামকে আপাতত সোনারপুর থানার অধীন অঞ্চলে থাকতে হবে এবং প্রতি একদিন অন্তর থানায় হাজিরা দিতে হবে তাকে। তার জামিনের আবেদন করে তার কৌঁসুলী জানান, সাত বছর ধরে জেলে রয়েছে সে। তবু, এখনও বিচারপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হল না।
বিজেপির আমলে ভারতের স্বাধীনতা এবং সংবিধান বিপন্ন: মমতা
যদিও, এই কথাটিও উল্লেখ করা হয় যে, বিক্রম এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়। তাকে জামিন দেওয়া হল যে আরও ২৪'টি মামলা তার বিরুদ্ধে রুজু করা হয়েছিল, সেই মামলাগুলির সাপেক্ষে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ওই মাওবাদী হানায় পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলদার আধাসামরিক বাহিনীর শিবিরটি জ্বালিয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ২৪ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। যা সেই সময় মাওবাদী দমনের কাজকে সাময়িকভাবে ব্যাহত করে। ওই হামলা করতে অন্তত ১০০ জন মাওবাদী বাইক ও চারচাকা গাড়িতে করে উপস্থিত হয়েছিল শিলদা শিবিরে। প্রথমে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ করা হয়। তারপরই জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ওই শিবির।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)