This Article is From Mar 11, 2020

সংসদের কাজে ব্যাঘাত ঘটানোয় ৭ কংগ্রেস সাংসদের সাসপেন্ডের আদেশ প্রত্যাহার

Parliament: স্পিকার ওম বিড়লাকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানায় কংগ্রেস, বিরোধী দলটি তাঁর কাছে সাসপেনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানোর পরে এই পদক্ষেপ

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Indian Parliament: সংসদের চলতি অধিবেশনে ৭ কংগ্রেস সাংসদকে বহিষ্কারের নির্দেশ প্রত্যাহার

Highlights

  • সংসদে দিল্লি হিংসা নিয়ে তুমুল হট্টগোল হয় গত সপ্তাহে
  • সেই সময় ৭ কংগ্রেস সাংসদকে অধিবেশন থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়
  • বুধবার সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করলেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা
নয়া দিল্লি:

সংসদের কাজে ব্যাঘাত ঘটানোয় ৭ কংগ্রেস সাংসদের সাসপেন্ডের আদেশ প্রত্যাহার করে নিলেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। দিল্লি হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে (Delhi violence) সংসদ ভবন (Parliament) তোলপাড় করেন ওই কংগ্রেস সাংসদরা (Congress MP)। গত সপ্তাহে দিল্লি হিংসা নিয়ে (Delhi Violence) নিয়ে আলোচনা চলার সময় সংসদে ব্যাপক ঝামেলা ও ভাঙচুরের কারণে, বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) বাকি সমস্ত দিনের জন্যে সাসপেন্ড করা হয় কংগ্রেসের ৭ জন সাংসদকে (Congress MPs) । বলা হয় আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলা বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে আর যোগ দিতে পারবেন না তাঁরা। ওই সাংসদদের মধ্যে ছিলেন গৌরব গগৈ, টিএন প্রথাপন, ডিয়েন কুরিয়াকোস, বেন্নি বেহান্নাম, মনিকম ঠাকুর, রাজমোহন উন্নিনাথন এবং গুরজিৎ সিং আহুজা। 

গত সপ্তাহে যখন এই কংগ্রেস সাংসদদের বরখাস্ত করা হয় সেই সময়ে গোটা ঘটনায় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বিষয়টিকে “প্রতিহিংসার রাজনীতি” বলে উল্লেখ করেন তিনি। যদিও সেই সময়েই দলের ওই ৭ সাংসদকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "হতাশ হবে না"। এই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে কংগ্রেস, একথাও বলেন তিনি। অধীর চৌধুরী বলেন, “এটা সরকারের সিদ্ধান্ত, অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত নয়। এটা কী ধরণের একনায়কতন্ত্র”? “আমাদের দুর্বল” করতেই এই সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও সেই সময় মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, “সংসদে দিল্লি হিংসা নিয়ে আলোচনায় ভয় পায় সরকার”।

"নির্বাচিত কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী": রাহুল গান্ধি

Advertisement

জানা যায় এরপরেই স্পিকার ওম বিড়লাকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানায় কংগ্রেস। বিরোধী দলগুলি তাঁর কাছে এই সাসপেনশন প্রত্যাহারের অনুরোধও জানায়। এরপরেই কংগ্রেস সাংসদদের চলতি অধিবেশন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন তিনি।

"মোদি-শাহের অধীনে ভালো থাকুন": জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস

Advertisement

গত সোম ও মঙ্গলবার সংসদে দিল্লি হিংসার ঘটনাকে নিয়ে তোলপাড় হয়, ওয়েলে নেমে হাতাহাতি করতে দেখা যায় সরকার ও বিরোধী দলের সাংসদদের এবং অধ্যক্ষের আসন লক্ষ্য করে কাগজও ছোঁড়েন কংগ্রেস সাংসদরা। এমনকী অধ্যক্ষের সামনের টেবিল থেকে নথিপত্র টেনে নিতেও দেখা যায় তাঁদের।

সেই সময় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেন, “অধ্যক্ষের টেবিল থেকে নথি ছিনিয়ে নেওয়া তাঁর পদের প্রতি সবচেয়ে বড় অসম্মান”, পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস সাংসদদের লাগাতার “বিশৃঙ্খলা”র জন্য লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে একটি প্যানেল তৈরি করতে বলেছে বিজেপি।

Advertisement