কলকাতা: শহরের বেশ কয়েকটি প্রান্ত থেকে কিছু রহস্যজনক সাংকেতিক সিগন্যাল দেওয়ার হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন অপেশাদার রেডিও অপারেটর। এর ফলে রেডিও সিগন্যালের ওপর প্রতি মুহূর্তে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত কয়েক সপ্তাহ আগে। কালীপুজোর ঠিক আগে। একজন রেডিও অপারেটরের নজরে প্রথমে আসে ঘটনাটি। উত্তর ২৪ পরগণার সোদপুর থেকে সাংকেতিক ভাষায় রেডিও সিগন্যাল ধরা পড়ছে। তারপর থেকে ওই সাংকেতিক ভাষার সিগন্যাল ধরা পড়েছে হুগলির চুঁচুড়া এবং শিয়ালদহের আশপাশ থেকে। রাতের একটি বিশেষ সময়। কলকাতা থেকে ২৫-৩০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে অবস্থিত অঞ্চলগুলি থেকেই এই সাংকেতিক ও দুর্বোধ্য রেডিও সিগন্যাল ধরা পড়ছে বলেও জানা গিয়েছে।
এই সিগন্যালের খবর পাওয়ার পরেই রেডিও অপারেটররা ঘটনাটা পুলিশকে জানান। এছাড়া, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রককেও অবগত করা হয় ঘটনাটি সম্পর্কে।
"এই পুরো ব্যাপারটাই ভয়ঙ্কর রহস্যজনক। যখনই আমরা ওই সিগন্যালটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছি, তখনই ওই সিগন্যালটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এবং আমাদের পাঠানো সিগন্যালের কোনও প্রত্যুত্তরও দেওয়া হচ্ছে না। পুরোটা স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে", বলেন বেঙ্গল অ্যামেচার রেডিও ক্লাবের সভাপতি অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস।
তিনি আরও বলেন, "আমাকে এই ব্যাপারটা প্রথম জানায় আমারই এক সহকর্মী। যে ভাষায় সিগন্যাল চালাচালি করা হচ্ছে, মনে করা হচ্ছে, সেটা পাশতো ভাষা। কিন্তু আমরা এখনও পর্যন্ত ওই ভাষা বুঝতে পারিনি", বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পাশতো ভাষাটি বিপুল পরিমাণে বলা হয়ে থাকে আফগানিস্তানে।
এই ঘটনাটি সম্বন্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রককে জানানোর পর থেকে ওই সিগন্যালটির উৎস সন্ধানে জোরদার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ব্যাপারটি সম্বন্ধে জানেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এডিজি (টেলিকমিউনিকেশন) দেবাশিস রায়ও। তিনি বলেন, "আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। আপাতত এই বিষয়ে যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা সবই কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই তদন্তের পক্ষে আরও ইতিবাচক কিছু জানতে পারা যাবে বলেই আমরা আশাবাদী"।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)