ALFA-S নামের ওই ড্রোনগুলি ভারতীয় বিমানবাহিনীর সামরিক বিমানগুলির ডানার নিচ থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম
হাইলাইটস
- প্রতিটি সোয়ার্মে ডজনেরও বেশি ড্রোন থাকতে পারে
- শত্রুপক্ষের নির্দিষ্ট জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম এই ড্রোনগুলি
- আলফা-এস ড্রোনগুলির দুটি করে ডানা আছে
নয়া দিল্লি: প্রায় এক দশক ধরে ভারতে তৈরি করা হল পুরোপুরি দেশীয় কৌশলের স্বয়ংক্রিয় ড্রোন (ALFA-S drones), যেগুলি শত্রু পক্ষের আকাশে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে উড়তে সক্ষম এই ড্রোনগুলি তাদের উন্নত কৃত্রিম গোয়েন্দা অ্যালগরিদমগুলি ব্যবহার করতে পারে এবং বালাকোটে (Balakot air strike) জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণশিবির লক্ষ্য করে চালানো ভারতীয় বিমান বাহিনীর (Indian Air Force) হামলার মতো হামলা করতে পারে। এই ড্রোনগুলির এক একটি ঝাঁকে (Indian swarming drone) কয়েক ডজন ড্রোন থাকে এবং তাঁরা একসঙ্গে হামলা চালাতে সক্ষম।এর ফলে শত্রুপক্ষ যদি ওই একঝাঁক ড্রোন থেকে কয়েকটি ড্রোনকে গুলি করে নামাতে সক্ষমও হয় তবু বাকি ড্রোনগুলি শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষাকে তছনছ করে দিয়ে অভিযানে সাফল্য এনে দিতে পারে।
চন্দ্রায়ন -2 ভারতকে মহাকাশের পথিকৃৎ বানিয়েছে: এই মহাকাশযাত্রার ১০ টি তথ্য
না,এটা কোনও সায়েন্স ফিকশন নয়।
দেশীয় সংস্থা হিন্দুস্তান এ্যারোনটিক্স লিমিটেড এবং নিউ স্পেস রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজিসের ইঞ্জিনিয়ার এবং সফ্টওয়্যার বিশেষজ্ঞদের একটি দল, অত্যাধুনিক বিমান প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গত দুই বছর ধরে নিরলস পরিশ্রম করে প্রথম দেশীয় মধ্যে প্রথম সোয়ার্ম ড্রোন তৈরি করেছে। ড্রোনগুলির নাম রাখা হয়েছে - ALFA-S বা এয়ার-লঞ্চ ফ্লেক্সিবেল অ্যাসেট (সোয়ার্ম)।
ফের গাফিলতির অভিযোগ! রোগীর কাটা যাওয়া আঙুল হারিয়ে ফেলল কলকাতার হাসপাতাল
"এটিই সামরিক যুদ্ধের ভবিষ্যৎ,"এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা এই স্মার্ট ড্রোনগুলি তৈরি করেছি, এবার আমরা চেষ্টা করছি কিছু বিপজ্জনক সামরিক অভিযানে যাতে পাইলট ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় ভাবে এই ড্রোনগুলি শত্রুপক্ষের উপর হামলা চালাতে পারে তা নিশ্চিত করতে। এর ফলে সামরিক অভিযানের সময় প্রাণহানির আশঙ্কা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হবে”।
ALFA-S ড্রোনগুলির দুটি ভাঁজ করতে সক্ষম ডানা আছে যে দুটি ১ থেকে ২ মিটার দীর্ঘ। এই ড্রোনগুলি ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমানের ডানাগুলির নিচে থাকা গর্তের ভিতরে সজ্জিত থাকবে। পাইলটরা প্রথমে একটি নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত উড়ে যাবেন যেখান থেকে তাঁরা শত্রুপক্ষের বিমান এবং মিসাইল থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ওই ড্রোনগুলি ছাড়তে পারবেন।এবার ওই ড্রোনগুলি, তাদের ডানায় ভর করে, প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। ড্রোনগুলির ডানার মধ্যে যে ব্যাটারিগুলি দেওয়া হয়েছে তা কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থায়ীভাবে কাজ করতে সক্ষম। এর সাহায্যেই ওই ড্রোনগুলি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাট হানতে সক্ষম হবে।