তবলিগ-ই-জামাতের সদস্যদের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেশে লাগাতার বেড়ে চলেছে
- দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার মসজিদ থেকেও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ
- বহু তবলিগ-ই-জামাত সদস্যকে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে
নয়া দিল্লি: দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজ (Nizamuddin Markaz) থেকে সরিয়ে নেওয়া ২,৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে দেশের বিভিন্ন কোয়ারান্টাইন সেন্টার এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তর রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপক কুমার জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের (Coronavirus) আশঙ্কায় নিজামউদ্দিনের তাবলিগ-ই-জামাতের ১৬৭ জন সদস্যকে বুধবার রাত ৯.৪০ এ ৫ টি বাসে করে তুঘলকাবাদের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের (Tablighi Jamat) মধ্যে ৯৭ জনকে স্থানীয় ডিজেল শেড প্রশিক্ষণ স্কুলের হস্টেলে রাখা হয়েছে এবং বাকি ৭০ জনকে আরপিএফ ব্যারাকের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। তিনি একথাও জানান যে, সংক্রমণ এড়াতে ওই মুসলিমদের কোয়ারান্টাইন করে রাখা হলে তাঁরা সেখানকার কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে। এমনকী তাঁরা সেখানকার চিকিৎসক সহ অন্যান্যদের লক্ষ্য করে থুথু ছেটাতেও শুরু করে বলে অভিযোগ।
দেশে করোনায় ছোবলে মৃত মোট ৫০, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১২ জনের, আক্রান্ত ১৯৬৫
সংবাদসংস্থা এএনআইকে দীপক কুমার বলেন, "এই লোকেরা সকাল থেকেই অত্যন্ত অভদ্র আচরণ করছিল এবং খাবারের জন্যে অযৌক্তিক দাবি তুলছিল। ওরা কোয়ারান্টাইন সেন্টারের কর্মীদেরকে অশ্রাব্য গালিগালাজও করেছে। এছাড়াও ওরা সমস্ত শ্রমজীবী এবং চিকিৎসকদের লক্ষ্য করে থুথু ছেটাতেও শুরু করে। ওরা গোটা ছাত্রাবাসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল"।
দিল্লির মার্কাজ মসজিদ থেকেই ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। রিপোর্ট বলছে, দিল্লির ওই মসজিদের বিপুল জমায়েতের কারণেই দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে প্রায় ৯ হাজার বাড়তে পারে।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা, করা হল ব্যাপক মারধর, দেখুন ঘটনার ভিডিও
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হিসাব মতো অন্ততপক্ষে ৭.৬০০ জন ভারতীয় ও কম করে ১,৩০০ জন বিদেশি মার্চের প্রথম দিকে আয়োজিত ওই ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ে ওই মারণ ভাইরাস। ইতিমধ্যেই ধর্মীয় সমাবেশে অংশ নেওয়া ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায় আক্রান্ত (COVID-19) হয়ে, আরও বহু মানুষের শরীরেও ওই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কেন্দ্রের আশঙ্কা জমায়েতে উপস্থিত তাবলিগ-ই-জামাতের সদস্যদের থেকেই এবার দেশে বহু মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস।