গতমাসে বিপিন রাওয়াতের জায়গায় সেনাপ্রধান হন মনোজ মুকুন্দ নারবানে
নয়াদিল্লি: পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Pakistan-occupied Kashmir) নিয়ে সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারবানের (General Manoj Mukund Naravane) বিবৃতি নিয়ে এদিন বিকেলে ট্যুইট করলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury )। নয়া সেনাপ্রধানকে “কথা কম, কাজ বেশি” করাতে বলেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা। NDTV কে জেনারেল মনোজ মুকুন্দ মারবানে বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বড় অভিযানের জন্য প্রস্তত সেনাবাহিনী এবং “সেটা সরকারের আদেশ হওয়া উচিত”, তার দুদিন পরেই এই মন্তব্য করলেন বহরমপুরের সাংসদ। পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ট্যুইট করেন কংগ্রেস নেতা, এবং তাঁর দলের ১৯৯৪ সালে নেওয়া সংসদীয় প্রস্তাব অপ্রীতিকর স্মৃতি তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করেন।
১৯৯৪ সালে সংসদে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব পাশ করানো হয়, ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের উচিত, তারমধ্যে থাকা সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত পাকিস্তানের, সেনাপ্রধানকে অধীর চৌধুরীর আরও বার্তা, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পদক্ষেপ করতে চাইলে, তা নিয়ে “প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বিপিন রাওয়াত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করুন”।
অধীর চৌধুরী ট্যুইট করেন, “১৯৯৪ সালে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব নিয়েছে সংসদ। পদক্ষেপ করা এবং নির্দেশ দেওয়া সরকারের দায়বদ্ধতা। পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে যদি আপনি সত্যিই এত ইচ্ছুক হন, আমি বলব, আপনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করুন”।
সেনাপ্রধান পদের দায়িত্ব নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই NDTV এর সঙ্গে কথা বলেন মনোজ মুকুন্দ নারবানে, এবং বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে “অনেক পরিকল্পনা” রয়েছে বাহিনীর এবং “যে কোনও পদক্ষেপ” করতে প্রস্তুত।
তারমধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বড় কোনও অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে কিনা, সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সেটা নির্দেশ হওয়া প্রয়োজন”।
পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ট্যুইট করেন কংগ্রেস নেতা, এবং তাঁর দলের ১৯৯৪ সালে নেওয়া সংসদীয় প্রস্তাব তাঁর দলে অপ্রীতিকর স্মৃতি তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে, অধীর চৌধুরীর প্রস্তাব, কাশ্মীর নিয়ে পদক্ষেপটি অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল না।
জম্মু ও কাশ্মীরে সরকারের পদক্ষেপের সময় কংগ্রেসের নেতৃত্বে ছিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী
তিনি বলেন, “…আপনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) বলছেন, এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়...১৯৪৮ থেকে কাশ্মীরে নজর রাখছে রাষ্ট্রসংঘ, সেটা কি অভ্যন্তরীণ বিষয়? আপনাকে জবাব দিতে হবে”।
সেই সময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন সনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধি, সরকারের সাংসদের দিক থেকে “ভারত মাতা কি জয়” এবং “বন্দেমাতরম” স্লোগান আসতে থাকে।
সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন মনোজ মুকুন্দ নারবানে।
গতমাসে, সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানকে চরম বার্তা দেন সেনাপ্রধান, বলেন, “সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘরে এগিয়ে গিয়ে হানা দেওয়ার অধিকার রয়েছে আমাদের”।