একজন এইচআইভি পজিটিভ কিশোরের রক্ত প্রবেশ করল এক গর্ভবতী মহিলার শরীরে। আর তা হল একেবারেই চিকিৎসাগত উদাসীনতার কারণে। আর তার জেরই তামিলনাড়ুতে বিতর্কের সৃষ্টি হল। রিপোর্টে প্রকাশ ছেলেটি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টাও করেছে।
মুম্বইয়ের বহুতলে আগুন লেগে পাঁচ প্রবীণ নাগরিকের মৃত্যু
ওই মহিলা ৩ ডিসেম্বর সাত্তুরের বিরুধুনগর জেলার সরকারি হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে জানান তিনি অ্যানিমিক। তাকে ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও সে জন্য চার দিন ভর্তি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানেই তাকে এইচআইভি পজিটিভ রক্ত দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, হাসপাতালের এক ল্যাবরেটরির এক কর্মী ভুলবশত ওই রক্তের পাউচে ‘সুরক্ষিত' স্টিকার সেঁটে রেখেছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে ব্লাড ব্যাঙ্কের তিন কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
টাকা খরচ করছি আমরা আর কৃতিত্ব নিচ্ছে বিজেপিঃ মমতা
ওই কিশোর রক্ত দিয়েছিল নিজের এক আত্মীয়ের জন্য। কিন্তু তার প্রয়োজন না থাকায় সেটি হাসপাতালে রেখে দেওয়া হয়েছিল। পরে জানা গিয়েছিল ২০১৬ সালে সাত্তুরের এক রক্তদান শিবিরে রক্ত দেওয়ার সময়ে ওই কিশোর এইচআইভি-তে আক্রান্ত হয়।
ঘটনাটি জানতে পারার পরে সত্ত্বর ছেলেটিকে ডেকে পাঠায় হাসপাতাল। তবে সে সেই সময়ে শহরের বাইরে ছিল।
বৃহস্পতিবার পুরো ঘটনাটি মাদ্রাজ হাইকোর্টে যায়। আদালত ৩ জানুয়ারির মধ্যে স্টেটাস রিপোর্ট তলব করেছে। এবং অভিযুক্ত স্বাস্থ্য অফিসারদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চেয়েছে। জর্জ উইলিয়াম ও কৃষ্ণমূর্তি নামে দুই আইনজীবি কেসটির উল্লেখ করার পরে আদালত সেটি গ্রহণ করে।
আরও খবর দেখুন এখানে