हिंदी में पढ़ें
This Article is From Jun 13, 2019

'নানার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার প্রমাণ নেই'; "জানতাম", বললেন তনুশ্রী

অলোক নাথের পর এবার ক্নিনচিট পেলেন নানা পাটেকর। প্রবীণ এই অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার কোনও প্রমাণ নেই।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

নানাকে ক্লিনচিট দিল মুম্বই পুলিশ

মুম্বই:

অলোক নাথের পর এবার ক্নিনচিট পেলেন নানা পাটেকর (Nana Patekar)। প্রবীণ এই অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার কোনও প্রমাণ নেই। মুম্বই হাইকোর্টে আজ এই চার্জশিট দিল মুম্বই পুলিশ। এই চার্জশিট পেশের সঙ্গে সঙ্গেই অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের (Tanushree Dutta) আনা যৌন হেনস্থার (sexually harassing) অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন নানা।  ১০ বছর আগে হর্ন ওকে প্লিজ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার সময় নানা নাকি তনুশ্রী দত্তের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন। মুম্বই পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আজ বি সামারি রিপোর্টে পুলিশ জানায়, নানার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করা সম্ভভ হয়নি। ফলে, এই মামলা চালাতে মুম্বই পুলিশ অপারগ। খবর, এএনআই-য়ের। প্রসঙ্গত, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ বি সামারি রিপোর্ট তখনই পেশ করে যখন তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করা সম্ভব হয় না।

 যদিও তনুশ্রী দত্তের আইনজীবী নীতিন শতপতে জানিয়েছেন, তাঁর কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও এই ধরনের কোনও চিঠি পাঠানো হয়নি। তবে বম্বে হাইকোর্ট কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে এই বি সামারির বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করবেন। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, এভাবেই নানাকে রক্ষা করছে পুলিশ। তাঁকে বাঁচাতেই বি সামারি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।

তবে এব্যাপারে সবথেকে উল্লেখযোগ্য তনুশ্রী দত্তের মন্তব্য। বি সামারি রিপোর্টে পেশের কথা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর প্রতিক্রিয়া, জানতাম এরকমটাই হবে। আমি এতে একটুও অবাক হইনি। ভারতে আমরা মহিলারা সমাজের থেকে. প্রশাসনের থেকে এই ধরনের ব্যবহার পেতেই অভ্যস্থ।

Advertisement

একইসঙ্গে তিনি একহাত নিয়েছেন মুম্বই পুলিশকেও। প্রশাসন সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া, অলেক নাথ যদি ধর্ষণের পরেও বেকসুর খালাস পেয়ে সিনে দুনিয়ায় স্বমহিমায় ফিরতে পারেন তাহলে নানা কেন পারবেন না! একদিন আমার সঙ্গে হয়েছে, তা এবার বলিউডে কাজ করতে আসা নতুন অভিনেত্রীদের সঙ্গে রোজ ঘটবে। তনুশ্রীর দাবি, সাজানো মিথ্যে সাক্ষী জোগাড় করে পার পেয়ে গেলেন নানা। যদিও তাঁর বিশ্বাস, তিনি সুবিচার পাবেনই।

প্রসঙ্গত, বলিউডের এই অভিনেত্রীই পাশ্চাত্যের অনুকরণে এদেশে হ্যাশ ট্যাগ মিটু (#MeToo) আন্দোলন শুরু করেন। এরপরেই বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে নির্যাতীত নারীরা মুখ খুলতে থাকেন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে। এই আন্দোলনের প্রভাবে বলিউডের একাধিক প্রযোজক-পরকিুচালক-অভিনেতার পাশাপাশি যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত হন রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরাও। এম জে আকবর তার জ্বলন্ত উদাহরণ। 

Advertisement

আন্দোলনের মুখ হওয়ার আগে দীর্ঘদিন তনুশ্রী দত্ত বলিউড থেকে দূরে ছিলেন। এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি নানার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। প্রশাসনের কাছে তাঁর অভিযোগ, নানা ভীবে নানা পাটেকর সেটে তাঁকে হেনস্থা করতেন। তাঁর চাপে পড়েই নানার সঙ্গে তাঁকে অন্তরঙ্গ নাচের দৃশ্যে অংশ নিতে হয়েছিল। 

যদিও তনুশ্রীর তোলা  এই অভিযোগ নস্যাত করে দিয়েছেন অভিনেতা। উল্টে, নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য তিনি আইনি চিঠি পাঠান অভিনেত্রীকে। 

Advertisement

Advertisement