পানের যোগ্য শুধুই মুম্বইয়ের জল!
নয়া দিল্লি: মুম্বইয়ের কলের জলই (Tap water) একমাত্র পানের যোগ্য। এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক (Union Consumer Affairs Ministry)। সমীক্ষা বলছে, মুম্বই (Mumbai) ছাড়াও দিল্লি সহ দেশের আরও ১৩টি প্রথম সারির শহরের কলের জলের নমুনা পরীক্ষা করার পর এই সিদ্ধান্তে আসে মন্ত্রক। পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছে দিল্লি এবং বাকি ১৩টি শহর। অন্যান্য মেট্রো শহর, যেমন দিল্লি, কলকাতা এবং চেন্নাই, বিআইএ-এর ১১ মানের প্যারামিটারগুলির মধ্যে ১০ টিতেই ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। একইভাবে, বাকি ১৭ শহরের জলও উত্তীর্ণ হতে পারেনি পরীক্ষায়।
'দেউলিয়া' রিলায়েন্স কমিউনিকেশন থেকে পদত্যাগ অনিল আম্বানির
দ্বিতীয় পর্বের সমীক্ষা প্রকাশের সময় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান বলেন, "২০ টি রাজধানীর মধ্যে একমাত্র মুম্বইয়ের কলের জল ১১ মানের প্যারামিটারে সফলভাবে উত্তীর্ণ। বাকি শহরগুলি ব্যর্থ। অতি শীঘ্র দেশের জলের মান আরও উন্নত করতে হবে। এর জন্য ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারগুলিকে। যাতে অবিলম্বে কলের জলের পাইপ এবং জলের মান উন্নত করা হয়।"
আরতি করে নাথুরাম গডসের ফাঁসির দিন ‘বলিদান দিবস' হিসেবে পালন করল হিন্দু মহাসভা
প্রথম পর্যায়ে বিআইএস থেকে প্রাপ্ত সমীক্ষায় দেখা গেছে, পানীয় হিসেবে দিল্লির জল একেবারেই অনুপযুক্ত। এই শহরের কলের জল একেবারেই নিরাপদ নয় শহরবাসীর জন্য। ১১ মানের প্যারামিটারের মধ্যে অর্গানল্যাপ্টিক, রাসায়নিক এবং জৈবিক পদার্থের উপস্থিতির পাশাপাশি ব্যাকটিরিওলজিক্যাল গুণগুলিও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল।
"কোনও সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ হোক চাই না": টেলিসংস্থার দুরবস্থায় বললেন অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, "রাজ্য রাজধানীর ১৩ টি থেকে প্রাপ্ত নমুনার মধ্যে কোনওটিই নয় - চন্ডীগড়, গুয়াহাটি, বেঙ্গালুরু, গান্ধীনগর, লখনউ, জম্মু, জয়পুর, দেরাদুন, চেন্নাই, কলকাতা - আইএসের প্রয়োজনীয়তা মেনে চলল না।" প্রসঙ্গত, চেন্নাইয়ের জলে দুর্গন্ধ, ক্লোরাইড, ফ্লোরাইড, অ্যামোনিয়া, বোরন এবং কলিফর্মের মতো একাধিক রাসায়নিক দূষণ পাওয়া গেছে। কলকাতার জলেও তাই-ই।
মুখে কথা নয়, এবার হাতে তলোয়ার তুলে নিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি!
বিআইএস-এর অধিকর্তা প্রমোদ কুমার তিওয়ারি জানিয়েছেন, এবার তৃতীয় সমীক্ষায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের রাজধানী শহরের জলের নমুনার ওপর পরীক্ষা হবে। সেই সব শহরের কলের জল কতটা পানীয়যোগ্য? জানা যাবে ২০২০-র ১৫ জানুয়ারির মধ্যে।