This Article is From Jun 06, 2019

‘‘বাঙালি ছেলেরা মেঝেতে ঝাঁট দিচ্ছে, মেয়েরা বারে নাচছে’’: তথাগত রায়ের নতুন টুইট

মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় আবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। কেন্দ্রের হিন্দি আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে বলতে দিয়ে তিনি জানালেন, বাঙালির মহত্ব আর নেই।

‘‘বাঙালি ছেলেরা মেঝেতে ঝাঁট দিচ্ছে, মেয়েরা বারে নাচছে’’: তথাগত রায়ের নতুন টুইট

তথাগত রায় টুইটারে জানালেন, বাঙালি হিন্দি শিক্ষার বিরুদ্ধে কথা বলছে রাজনৈতিক কারণে।

নয়াদিল্লি:

মেঘালয়ের (Meghalaya) রাজ্যপাল তথাগত রায় (Tathagata Roy) আবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। বিভিন্ন রাজ্যে কেন্দ্রের হিন্দি আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে বলতে দিয়ে তিনি জানালেন, বাঙালির মহত্ব আর নেই। বললেন, বাঙালিরা এখন মেঝে ঝাঁট দেয় অথবা মুম্বইয়ে বার ডান্স করে। বাংলার প্রাক্তন বিজেপি (BJP) নেতা তথাগত রায় একের পর এক টুইটে বাঙালির হিন্দি শিক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে আক্রমণ করেছেন তাকে তিনি মূলত রাজনৈতিক বলেই মন্তব্য করলেন।  তিনি তাঁর টুইটে লেখেন, ‘‘এটা কোনও সঠিক বিরোধিতাই নয়। ওরা রাজনৈতিক কারণেই চেঁচামেচি করছে। অসম, মহারাষ্ট্র, ওড়িশাও অ-হিন্দিভাষী রাজ্য, কিন্তু তারা হিন্দির বিরোধিতা করেনি। দ্বিতীয় যুক্তিটা হল বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ও নেতাজির দেশ বাংলা, তাহলে কেন বাঙালি হিন্দি শিখবে?'' 

‘বাংলাদেশের অভিনেত্রী' বিতর্কে বিজেপিকে আন্তর্জাতিক দল বলল তৃণমূল

এই প্রশ্ন তুলে তিনি লেখেন, ‘‘এই সব মহান মানুষদের সঙ্গে হিন্দি শেখার বিরোধিতার সম্পর্ক কোথায়? দ্বিতীয়ত, হে ঈশ্বর, কে এদের বোঝাবে এই সব কিংবদন্তিদের যুগটাই বহুদিন আগে শেষ হয়ে গিয়েছে। এবং বাংলার মহত্বও। এখন কেরল বা হরিয়ানায় গিয়ে বাংলার ছেলেরা মেঝে ঝাঁট দেয় এবং বাঙালি মেয়েরা মুম্বইয়ে গিয়ে বার ডান্স করেন, যা আগে কখনও ভাবা যেত না।''

তাঁর কোনও কোনও টুইটার ফলোয়ার তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন বটে, কিন্তু অনেকেই বাঙালিকে নিয়ে এমন মন্তব্য করার কারণে তাঁকে আক্রমণ করেছেন। বলেন, কেবল বাংলাই নয়, অন্য অনেক রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ই এই পরিস্থিতিতে পড়েছে। আর তার জন্য তাঁদের হিন্দি না জানাটা কারণ নয়, মূলত কাজের সুযোগের অভাব ও অশিক্ষার কারণে তাঁদের ওই কাজ করতে হয়। 

রেপো রেট কমে হল ৫. ৭৫ শতাংশ, সস্তা হবে সুদের হার

তৃণমূল কংগ্রেস এই টুইটের প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা করেছে।

এই টুইট করার পিছনে রয়েছে একটি নতুন শিক্ষানীতির খসড়া। সেই খসড়ায় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তিনটি ভাষা শিক্ষার। সেখানে এও বলা হয়, অহিন্দিভাষী রাজ্যগুলিকেও হিন্দি শিখতে হবে। পরে অবশ্য এই প্রস্তাব কার্যকর করা হয়নি। তামিলনাডুর মতো রাজ্যগুলি প্রতিবাদ জানায়। হিন্দিকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলে।

এমন গর্হিত মন্তব্য করা তথাগতর কাছে নতুন নয়। কিন্তু অনেকেরই বক্তব্য, কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও সিরিয়াস পদক্ষেপ করা হল না সেটাই আশ্চর্যের।

.