This Article is From Feb 07, 2019

কাটা দু’পায়ে ট্যাটু দেখেই গ্রেফতার খুনি! স্ত্রীকে খুন করে দেহাংশ টুকরো করলেন চিত্রপরিচালক

৫১ বছর বয়সী বালকৃষ্ণন ১৯ জানুয়ারি তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেন এবং পরের দিন তাঁর শরীর কেটে টুকরো টুকরো চুরি করেন এবং চেন্নাইয়ের বিভিন্ন আবর্জনা ফেলার জায়গায় প্লাস্টিকের ব্যাগে করে ফেলে আসেন।

পুলিশের ধারণা, গত ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যাকে খুন করা হয়েছে।

হাইলাইটস

  • বুধবার চিত্রপরিচালক বালাকৃষ্ণণকে গ্রেফতার করেছে চেন্নাই পুলিশ
  • স্ত্রীয়ের দেহ কেটে টুকরো করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি
  • তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা (৩৭) একজন উঠতি অভিনেত্রী ছিলেন
চেন্নাই:

উঠতি অভিনেত্রী স্ত্রীকে টুকরো টুকরো করে কেটে খুন করলেন চেন্নাইয়ের একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। বুধবারই হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। মাথা ব্যতীত অভিনেত্রীর দেহের অন্যান্য অংশ গত মাসেই শহরের একটি আবর্জনা ফেলার জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়। অদ্ভুত একটি সূত্রই পুলিশের কাছে পরিষ্কার করে দেয় খুনি আসলে কে। চলচ্চিত্র নির্মাতা বালকৃষ্ণনকে ওই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিনেত্রীর কাটা পায়ে দুটি ট্যাটু দেখেই পুলিশ সনাক্ত করে যে এটি বালকৃষ্ণনের স্ত্রী সন্ধ্যা (৩৭)।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হয়েও কেন ঝাড়ুদারের চাকরির আবেদন করলেন এই ব্যক্তি?

গত মাসেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া কাটা পায়ে শিব পার্বতী এবং ড্রাগনের মতো ট্যাটুদেখেই পুলিশ জানতে পারে এটি আসলে সন্ধ্যার দেহের অংশ বিশেষ। স্ত্রীকে হত্যার দুই সপ্তাহ পরই বালাকৃষ্ণনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হাতের একটি বালাও এই তদন্তে বিশেষ সাহায্য করে। ৫১ বছর বয়সী বালকৃষ্ণন ১৯ জানুয়ারি তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেন এবং পরের দিন তাঁর শরীর কেটে টুকরো টুকরো চুরি করেন এবং চেন্নাইয়ের বিভিন্ন আবর্জনা ফেলার জায়গায় প্লাস্টিকের ব্যাগে করে ফেলে আসেন।

om64ctko

বুধবার চেন্নাই পুলিশ বালাকৃষ্ণণকে গ্রেফতার করেছে।

ট্যাটু এবং বালার ছবিগুলি ছড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। দক্ষিণ তামিলনাডুর থুথুকুড়ির বাসিন্দা সন্ধ্যার মা প্রথম ওই ছবি দেখে চিনতে পারেন। বালকৃষ্ণন তাঁর পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে সন্ধ্যা থুথুকুড়িতেই ফিরে এসেছে কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরেই পুলিশের সন্দেহ তীব্র হয়।

পুলিশকর্তা অ্যালভিন এনডিটিভিকে বলেন, “আমরা অভিযুক্তের তথ্যের ভিত্তিতে এখন ওই কাটা মাথার সন্ধান করছি।” পুলিশ জানিয়েছে, বালকৃষ্ণন স্বীকার করেছেন যে সন্ধ্যার বিশ্বাসযোগ্যতার প্রতি সন্দেহ করেই তাঁকে খুন করেছেন তিনি।

থুথুকুড়ির এই দম্পতি ২০০০ সালে বিয়ে করেন। বালকৃষ্ণনের থেকে সন্ধ্যা চোদ্দ বছরের ছোট। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দু'জনের সম্পর্কে বেশ ফাটল ধরেছিল অনেকদিন থেকেই। গত বছরই, সন্ধ্যা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন এবং স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে গার্হ্যস্থ হিংসার অভিযোগও করেন। যদিও পরে কাউন্সেলিং করিয়ে তাঁদের সমস্যা মেটানো হয়। বালকৃষ্ণন ‘কধাল ইলাভাসম' নামে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেছেন এবং অন্য আরেকটি সিনেমা তৈরির জন্য তাঁর স্ত্রীর পরিবারের থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও দাবি করেছিলেন।

.