Read in English
This Article is From Feb 06, 2020

ছাত্রদের লাগাতার বেতের বাড়ি মারছেন শিক্ষক! লুকিয়ে সেই ভিডিও তুলল আরেকজন

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তি দেওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার, কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই কিশোর ছাত্রদের সপাং সপাং বেতের বাড়ি মারা হল

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Andhra Pradesh: ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে অন্ধ্রের পুলিশ প্রধান এবং শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

Highlights

  • এক শিক্ষক নির্দয়ভাবে বেত মারছেন ছাত্রদের, সামনে এল সেই ভিডিও
  • অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের উপর শারীরিক নির্যাতন করা নিষিদ্ধ
  • এই আইন লঙ্ঘন করলে হতে পারে সর্বাধিক ৩ বছরের জেল এবং ৫০,০০০ টাকা জরিমানাও
ভাইজ্যাগ:

অনেকদিন আগেই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শারীরিক শাস্তি (Corporal punishment in schools) দেওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার, কিন্তু খাতায় কলমে সেই নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা আর মানছেন ক'জন। NDTV-র হাতে সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও এসেছে যা দেখে আপনিও আঁতকে উঠবেন। শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করা এক সমাজকর্মীর কাছে থেকে পাওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পরপর কিশোর ছাত্রদের দাঁড় করিয়ে কিশোর ছাত্রদের সপাং সপাং বেতের বাড়ি মারছেন এক শিক্ষক (Teacher)। সেই সময়ই গোটা ঘটনাটিকে লুকিয়ে মোবাইলে রেকর্ড করে নেয় আরেক ছাত্র। সেই ভিডিও দেখলে আপনার মনেও এই প্রশ্ন আসতে পারে যে শিক্ষাদানের নামে এইভাবে মারধর (Corporal Punishment) কতটা যুক্তিযুক্ত একজন শিক্ষকের পক্ষে? ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) ভাইজ্যাগ জেলার একটি স্কুলে।

ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে সাদা শার্ট এবং ধূসর রঙের প্যান্ট পরা এক শিক্ষক ছাত্রদের দাঁড় করিয়ে তাঁদের নির্মমভাবে বেত মারছেন। পাশে থাকা অন্য দু'জন ছাত্র ভয়ে ভয়ে ঘটনাটি দেখছে এবং কমপক্ষে আরও তিন জন ছাত্র আতঙ্কে প্রায় স্থির হয়ে গেছে। ভিডিওটি বিশাখাপত্তনম থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে আনাকাপল্লের ভাশ্যাম স্কুলে তোলা হয়েছে। 

তরুণীর অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায়, অধরা অভিযুক্ত

Advertisement

নির্মম ওই ভিডিওটি শেয়ার করে এক শিশু অধিকার রক্ষা কর্মী অচুত্যা রাও অন্ধ্রের পুলিশ প্রধান এবং শিক্ষা বিভাগের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখতে অনুরোধ করেছেন। যে শিক্ষক এইভাবে ছাত্রদের বেত মারছেন তাঁর বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে এখনও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।

যদিও প্রায়ই দেখা যায় এই ধরণের শাস্তি দেওয়া বা মারধর করা নিয়মিত চলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। অথচ স্কুল-কলেজে কোনওভাবেই কোনও ছাত্রছাত্রীকে শারীরিকভাবে মারধর করা যাবে না বলে কড়া নির্দেশ বহাল রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। অভিযোগ সেই নির্দেশকে লবডঙ্কা দেখিয়ে নিয়মিত এইভাবে হেনস্থা করা হয়েই থাকে পড়ুয়াদের। বিশেষত কিছু বেসরকারি কর্পোরেট স্কুল এবং কলেজে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় ভাল ফল করার জন্যে রীতিমতো চাপসৃষ্টি করা হয়। এ জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভাল সাফল্যের হার যেমন আছে তেমনই বিপরীত ভাবে এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে পড়ুয়াদের আত্মহত্যা করার ঘটনাও।

Advertisement

অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা দুষ্কৃতীদের! পুত্রবধূকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু শ্বশুরের

স্কুলগুলিতে শারীরিক শাস্তি এবং পড়ুয়াদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার বিষয়গুলিকে ভারত সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসারে, শারীরিক শাস্তির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারী শিক্ষকের ন্যূনতম এক বছরের কারাদণ্ড এবং সঙ্গে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে। পাশাপাশি বারবার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সর্বাধিক তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ২৫,০০০ টাকা জরিমানার কথাও উল্লেখ রয়েছে সেখানে।

Advertisement