This Article is From Dec 28, 2018

আমি কি একটা বাড়ি পেতে পারি না, নীতিশ কুমারকে ফোন লালু পুত্র তেজপ্রতাপের

বাড়ি চেয়ে আবেদন করেছেন লালুপুত্র তেজপ্রতাপ। আবাসন নির্মাণ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেছেন। তবে তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় শেষমেস মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে ফোন করেন তিনি।

আমি কি একটা বাড়ি পেতে পারি না, নীতিশ কুমারকে ফোন লালু পুত্র তেজপ্রতাপের

পৈতৃক ভিটে থেকে কয়েকশো মিটার দূরেই নতুন ঠিকানা তেজপ্রতাপের

হাইলাইটস

  • নতুন বাড়ির আবেদন করেছেন তেজপ্রতাপ যাদব
  • লালুপ্রসাদ যাদবের অনুমতি নিয়ে তেজপ্রতাপকে নতুন বাড়ি দিয়েছেন নীতিশ কুমার
  • এর ফলে স্ত্রীর সঙ্গে তেজপ্রতাপের সম্পর্কের উন্নতি হবে, অনুমান লালুর
পটনা:

বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে পৈতৃক বাড়িতে অশান্তির জেরে শেষপর্যন্ত নতুন ঠিকানায় লালুপুত্র তেজপ্রতাপ। নতুন বাড়ি পেতে তাঁকে সাহায্য করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।

লালুপুত্রের নতুন ঠিকানা 7 M স্ট্যান্ড রোড। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে এখানে থাকতেন জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমার। বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠনের পর নিজের সরকারি বাসভবনে চলে যান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।তারপর থেকে বাড়িটি ফাঁকাই পড়ে ছিল।

নতুন বাড়ি চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন লালুপুত্র। এমনকী, আবাসন নির্মাণ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেন। তবে তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় শেষপর্যন্ত নীতিশ কুমারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন । বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাড়ির আর্জি জানান লালুপুত্র। যদিও লালুপ্রসাদের মতামত না জেনে কোনও সিদ্ধান্ত নেন নি নীতিশ কুমার। নতুন বাড়িতে গেলে স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব ঘুচবে, এই ভেবেই তাতে সম্মতি দেন লালুপ্রসাদ।

বিহারে মহাজোটের সরকারে তেজপ্রতাপ ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্য। নীতিশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হন লালুপ্রসাদের আরেক ছেলে তেজস্বী যাদব। তবে মহাজোট ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খড়গহস্ত যাদব পরিবারের দুই ভাই। নীতিশ কুমারের সঙ্গে জোটের প্রসঙ্গে কট্টর বিরোধী ছিলেন তেজপ্রতাপ। নীতিশ কুমারের জন্য নিজের বাড়ির গেটে প্রবেশ নিষেধ বোর্ড ঝুলিয়ে দেবেন বলেছিলেন তিনি। তবে রাজনৈতিক বৈরতা থাকলেও দুই লালু-নীতিশের পারিবারিক বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট। মাস ছয়েক আগে তেজপ্রতাপের বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণরক্ষা করতে গিয়েছিলেন নীতিশ কুমার। নব দম্পতিকে আশীর্বাদ করার পাশাপাশি লালুপ্রসাদকে জড়িয়ে ধরে ছবিও তুলেছিলেন তিনি।

তবে মাস ছয়েকের মধ্যেই তেজপ্রতাপের দাম্পত্য জীবনে বিষাদের ছায়া নেমে আসে। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন লালুপুত্র। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলে, বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তেজপ্রতাপ। একইসঙ্গে হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন, তাঁর সিদ্ধান্ত মেনে না নিলে বাড়ি ফিরবেন না তিনি।
 

.