তেজস্বী যাদব টুইট করে অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলোও গ্রহণ করার জন্য মোদিকে আহ্বান জানান।
নিউ দিল্লি:
ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির ফিটনেস চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত টুইটের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা হল। তাঁর এই একটি প্রতিক্রিয়াতেই বিরোধী নেতৃত্ব তেতে উঠেছে।
বিহারের নেতা তেজস্বী যাদব, যিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগে ছিলেন একজন ক্রিকেটার, আজ তাঁর মতে এই সরকারের যা যা ব্যর্থতা, তার একটি তালিকা বানিয়ে মোদির উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন ।
তিনি এই কাজ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই কংগ্রেস নেতা রাজদীপ সূর্যেওয়ালা একের পর এক টুইট করে এই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার খেলায় অংশগ্রহণ করেন।
বর্ষীয়ান নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের উত্তরাধিকারী তেজস্বী যাদব রাস্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে যুক্ত হন তাঁর বাবা দুর্নীতির দায়ে জানুয়ারি মাসে জেলে যাওয়ার পর থেকেই। মাত্র এই কয়েকদিনের মধ্যেই তীক্ষ্ণ টুইট এবং ধারালো ভাবনার সাহায্যে বিজেপিকে বারবার আক্রমণ করে এই 28 বছর বয়সী যুবনেতা দলের মধ্যে নিজের একটি স্বতন্ত্র জায়গা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
গত সপ্তাহে কর্ণাটকের রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালা সরকার গড়ার জন্য বিজেপিকে আহ্বান জানানোর পর তিনি বলেন, তাঁর দলও বিহারের শাসকদল হিসাবে একটা সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। এমনকি তিনি ওই সময় বলেন, দরকার হলে, নিজেদের প্রাপ্য বুঝে নেওয়ার জন্য তিনি বিহারের রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করতে প্রস্তুত।
তাঁর টুইটটি কংগ্রেসকে প্ররোচিত করে। এই টুইটের মূল বার্তাটিকে অনুসরণ করেই বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যায় কংগ্রেস এবং আরজেডির বেশ কিছু সদস্য।
গতকাল, বিহারের এই নেতা কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং অলিম্পিয়ান রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের শুরু করা এই ফিটনেস চ্যালেঞ্জ মঙ্গলবার থেকেই টুইটারে ঝড় তুলে দিয়েছে। মন্ত্রী তাঁকে ট্যাগ করার পর বিরাট কোহলি নিজে 20 বার স্পাইডার প্ল্যাঙ্ক করে তার ভিডিও আপলোড করে আরও যে তিনজনের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নিয়মিত যোগাসন করা মোদি আজ সকালে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কোহলির টুইটের প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, “তোমার চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করা হল, বিরাট। আমিও আমার ভিডিও শেয়ার করব”।