This Article is From Sep 13, 2019

প্রেম, সম্পর্ক, সকলের অজান্তে গর্ভপাতের চেষ্টা... কী হল তারপর!

অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে যে, অবৈধ সম্পর্কের জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে মেয়েটি, তাই তাকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গর্ভপাতের উদ্দেশে

প্রেম, সম্পর্ক, সকলের অজান্তে গর্ভপাতের চেষ্টা... কী হল তারপর!

২৪ ঘন্টা গাড়িতেই পরে থাকে মৃতদেহটি

ঘটনাটি তেলেঙ্গানার (Telangana) পারিগী বন নামক এলাকার। একটি মেয়ের আধপোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর শুরু হয় তদন্ত। আর তখনই সামনে আসে এক অমানবিক ঘটনা। তদন্তে মেনে পুলিশ জানতে পারে মেয়েটি কর্ণাটকের কলবুর্গি শহরের বাসিন্দা ছিল। এক বেসরকারি নার্সিং হোমে গর্ভপাত করতে গিয়ে মারা যায় মেয়েটি। তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে মৃতদেহটি গায়েব করার অভিযোগ ওঠে।  বৃহস্পতিবার পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তেলেঙ্গানার মেঢক জেলার জহিরাবাদ শহরের পাশের এক জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল মৃতদেহটি।  

সে কলবুর্গির ব্রহ্মপুরের বাসিন্দা ছিল। তদন্তের সূত্র ধরে জানা গেছে, এই মেয়েটির সাথে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের ছেলে রবি কুমারের সম্পর্ক ছিল।  রবি কুমারের বয়স ২৬। সম্পর্কের জেরে গর্ভবতী হয়ে যায় মেয়েটি। রবি তাকে ৩ সেপ্টেম্বর একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে নিয়ে যায় আর সেখানে সে নিজেকে মেয়েটির স্বামী হিসাবেই পরিচয় দেয়।  

অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে যে, অবৈধ সম্পর্কের জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে মেয়েটি, তাই তাকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গর্ভপাতের উদ্দেশে, কিন্তু অপারেশন থিয়েটারেই মেয়েটি মারা যায়।  এরপর অভিযুক্তের হাতে তুলে দেওয়া হয় মৃতদেহটি, কিন্তু সে কি করবে ঠিক বুঝতে পারছিল না, প্রায় ২৪ ঘন্টা নিজের গাড়িতেই রেখে দেয় দেহটিকে। তারপর সুযোগ বুঝে দেহটি জঙ্গলে ফেলে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।  মারা যাওয়ার পরের দিন অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বর সে দেহটিকে জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। 

হঠাৎ করেই মেয়েটি একেবারে গায়েব হয়ে যাওয়ার পর তার আত্মিয় স্বজনরা তিনদিন ধরে তার খোঁজ করে, অবশেষে ব্যর্থ হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় ও মেয়েটি নিখোঁজ এমনি রিপোর্ট লেখায় পুলিশের কাছে। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রকৃত সত্য উদ্ধারের পর কুমারকে গ্রেফতার করেছে।

.