তেলেঙ্গানা ধর্ষণ তথা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের প্রসঙ্গে বলেন Asaduddin Owaisi
হাইলাইটস
- "যে কোনও ধরণের এনকাউন্টারের বিরুদ্ধে": আসাউদ্দিন ওয়াইসি
- তেলেঙ্গানার এনকাউন্টার প্রসঙ্গে ওই কথা বলেন তিনি
- শুক্রবার পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় তেলেঙ্গানা কাণ্ডের ৪ অভিযুক্তের
নয়া দিল্লি: তেলেঙ্গানার (Telangana) ক্ষমতাসীন টিআরএসের জোটসঙ্গী আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেন যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে সব ধরণের এনকাউন্টারের বিপক্ষে। রাজ্যের এক মহিলা পশুচিকিৎসককে গণধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত ৪ জনের এনকাউন্টারে (Telangana Killings) মৃত্যুর পরে ওই প্রতিক্রিয়া দেন এইআইএমআইএম প্রধান (Asaduddin Owaisi)। "আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি এনকাউন্টারের বিপক্ষে। এমনকি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পর্যন্ত নজরে এসেছে এই এনকাউন্টারের ঘটনাটি", সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন তিনি। আসাউদ্দিন ওয়াইসি আরও বলেন, "আমি আশাবাদী যে মন্ত্রী পর্যায়ের তদন্তের পর আমাদের সামনে গোটা ঘটনাটি পরিষ্কার হবে"। শুক্রবার ভোরে পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় তেলেঙ্গানায় গণধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত ৪ জনের। তারপরেই দেশ জুড়ে এই এনকাউন্টার নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। সাধারণ মানুষ আপাতভাবে এই এনকাউন্টারে তেলেঙ্গানা পুলিশকে বাহবা দিলেই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এর বিরুদ্ধেও মতপ্রকাশ করেছেন।
‘‘আইন তার কর্তব্য করেছে'': তেলেঙ্গানা এনকাউন্টার প্রসঙ্গে তেলেঙ্গানা পুলিশ
যদিও সাইবেরাবাদ থানার পুলিশ প্রধান ভিসি সজ্জনার শুক্রবার যেভাবে তেলেঙ্গানা ধর্ষণ কাণ্ডের চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টারের মাধ্যমে মেরে ফেলা হয় সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, আইন তার কর্তব্য করেছে। তিনি জানান, অভিযুক্তরা পুলিশের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিতে চেষ্টা করে ছিল তাই তাঁদের পাল্টা গুলি করে মেরেছে পুলিশ। এনকাউন্টারের ঘটনাস্থলে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে একথা জানান তিনি। পুলিশ প্রধান বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা আমাদের পাথর ও ধারালো বস্তু ছুঁড়ে মারে এবং আমাদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় । তাই পাল্টা গুলি চালাতে হয় আমাদের।''তেলেঙ্গানা ধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তদের এনকাউন্টার, মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেশজুড়ে
তিনি জানান, ১০ সদস্যের দুটি দলের দুই পুলিশ কর্মীর মাথায় আঘাত লাগে তবে তা বন্দুকের গুলির ক্ষত নয়।
চার অভিযুক্তের নাম মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন ও চিন্তাকুণ্টা চেন্নাকেশাভুলু। এর মধ্যে আরিফ মহম্মদের বয়স ২৬। বাকিদের বয়স ২০-এর আশেপাশে। শুক্রবার ভোর তিনটের সময় তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তদন্তের জন্য। সেই সময়ই তাঁরা পালানোর চেষ্টা করলে তাঁদের গুলি করে মারে পুলিশ। সেই স্থানেই তাঁদের মৃত্যু হয়, যেখানে ২৬ বছরের ওই পশু চিকিৎসক তরুণীকে তাঁরা পুড়িয়ে মারে। হায়দরাবাদ থেকে ৫০ কিমি দূরে অবস্থিত ওই স্থান।
দেখে নিন এই ভিডিও: