আশা দেবী জানালেন, ‘‘ওই মহিলা পশু চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বর্বরোচিত।’’
নয়াদিল্লি: হায়দরাবাদের ২৬ বছর বয়সি পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে (Vet's Rape) পুড়িয়ে মারার ঘটনায় স্তম্ভিত ও ক্রুদ্ধ গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন ‘নির্ভয়া'র মা (Nirbhaya's Mother)। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে দিল্লিতে সেই তরুণীকে ধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচারের সেই ঘটনার ক্ষত আজও দগদগে দেশবাসীর মনে। এবার হায়দরাবাদে তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় মুখ খুললেন ‘নির্ভয়া'র মা। দিল্লির সেই প্যারামেডিক ছাত্রীর মা আশা দেবী জানালেন, ‘‘ওই মহিলা পশু চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বর্বরোচিত। আমাদের যেমন সাত বছর ধরে লড়তে হচ্ছে, আশা করি ওর ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার হবে। এমন ঘটনা কেন বারবার ঘটছে প্রশাসনকে তা জানাতে হবে।''
"গণপিটুনিই দেওয়া উচিত": তেলেঙ্গানা ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের এই শাস্তির নিদান দিলেন জয়া বচ্চন
গত বুধবার রাতে ওই পশু চিকিৎসককে চারজন মিলে গণধর্ষণ করে। এক টোল বুথের কাছে অবস্থিত ঝোপে তরুণীটিকে টেনে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করতে থাকে যতক্ষণ না তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। মেয়েচির ফোনটিকে বন্ধ করে দিয়ে তাঁকে চুপ করাতে তাঁর গলায় হুইস্কিও ঢেলে দেয় ধর্ষকরা। পরে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ২৭ কিমি দূরে এক ব্রিজের তলায় তাঁর দেহটিকে কম্বলে জড়িয়ে তাতে আগন লাগিয়ে দেয়।
এই ভয়ঙ্কর ও পাশবিক ঘটনায় ক্ষোভে ফুটছে গোটা দেশ। তেলেঙ্গানা সহ অন্য রাজ্যেও এই নিয়ে প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও রবিবার জানিয়েছেন, এই মামলাটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার হবে।
অভিনব শাস্তি, ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করতেই নগ্ন করে হাঁটাল জনতা
হায়দরাবাদের ঘটনার নৃশংসতা ফিরিয়ে এনেছে ২০১২ সালের ডিসেম্বরের স্মৃতি। দক্ষিণ দিল্লিতে একটি চলন্ত বাসের মধ্যে আশা দেবীর ২৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে ছ'জন। প্রতিবাদ করলে মেয়েটিকে লোহার রড দিয়ে মারা হয়। সেই সঙ্গে মেয়েটির বন্ধুকেও প্রবল মারধর করা হয়। এরপর দু'জনকেই বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার ১৩ দিন পর সিঙ্গাপুরে ২৯ ডিসেম্বর তরুণীর মৃত্যু হয়।
রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রানুসারে উল্লেখ করেছে, একজন অভিযুক্তর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনে দিল্লি সরকার কড়া প্রস্তাব দিয়েছে সেই আবেদন যেন প্রত্যাখ্যান করা হয়।
ধর্ষক বিনয় শর্মা, যে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছে সে এখন তিহার জেলে রয়েছে। এদিকে অন্য ধর্ষক মুকেশ কোনও পিটিশন জমা দেয়নি।
‘নির্ভয়া' মামলা কেবল দেশ নয়, সারা পৃথিবী জুড়েই আলোচিত। এই মামলার পরেই দেশে ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে আইনে পরিবর্তন করার দাবি উঠেছে।