২৭ নভেম্বর শামশাবাদ এলাকায় এক মহিলা পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়
হাইলাইটস
- তেলেঙ্গানা গণধর্ষণ কাণ্ডের ৪ অভিযুক্তকেই গুলি করে হত্যা করে পুলিশ
- তাঁরা পুলিশকে আক্রমণ করে, পালানোর চেষ্টা করে, তাই গুলি করা হয়: পুলিশ
- পুলিশের অনুমান, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটকেও এই ধরণের ঘটনায় জড়িত ছিল ওরা
হায়দরাবাদ: ২৭ বছর বয়সী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত চার ব্যক্তি এই ধরণের অপরাধের সঙ্গে আগেও যুক্ত ছিল বলে অনুমান তেলেঙ্গানা পুলিশের। তাঁরা জানিয়েছে, এর আগে কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় (Telangana) একই ধরনের অপরাধে সঙ্গে তাঁরা জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। "আমরা ভুক্তভোগী (Rape) এবং সমস্ত অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষা করেছি এবং বৈজ্ঞানিক তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। এর পরে আমরা কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্র প্রদেশ থেকে নারীদের নিখোঁজ ও পোড়া লাশের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। তথ্য আসার পরে আমরা অভিযুক্তদের জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পর্কে বিশ্লেষণ করবো। আমাদের অনুমান যে অভিযুক্তরা ওই রাজ্যগুলিতেও একই ধরণের অন্যান্য মামলায় জড়িত ছিল", বলেন সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সজ্জনার। শুক্রবার ভোরে পুলিশি এনকাউন্টারে (Encounter) মৃত্যু হয় গণধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত ৪ জনের।
সাইবারাবাদ পুলিশ শুক্রবার জানিয়েছে যে তাঁরা অপরাধের ঘটনাস্থল থেকে মৃত মহিলা পশু চিকিৎসকের মোবাইল ফোন, পাওয়ার ব্যাংক এবং ঘড়িটি উদ্ধার করেছে।
এক বছরে ৮৬ টি ধর্ষণ! ১৮৫ টি যৌন হেনস্থা! ধর্ষণের রাজধানী হয়ে উঠল ভারতের এই শহর
২৭ নভেম্বর শামশাবাদ এলাকায় ওই মহিলাকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্যে ওই ৪ অভিযুক্তকে নিয়ে এলে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে তাঁরা। সেই সময়েই পুলিশ কর্মীরা তাঁদের গুলি করে হত্যা করে।
যদিও সাইবারাবাদ থানার পুলিশ প্রধান ভিসি সজ্জনার শুক্রবার যেভাবে তেলেঙ্গানা ধর্ষণ কাণ্ডের চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টারের মাধ্যমে মেরে ফেলা হয় সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, আইন তার কর্তব্য করেছে। তিনি জানান, অভিযুক্তরা পুলিশের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিতে চেষ্টা করে ছিল তাই তাঁদের পাল্টা গুলি করে মেরেছে পুলিশ। এনকাউন্টারের ঘটনাস্থলে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে একথা জানান তিনি। পুলিশ প্রধান বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা আমাদের পাথর ও ধারালো বস্তু ছুঁড়ে মারে এবং আমাদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় । তাই পাল্টা গুলি চালাতে হয় আমাদের।''
ধর্ষিতার গায়ে আগুন লাগিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, মারা গেলেন উন্নাওয়ের নিগৃহীতা
চার অভিযুক্তের নাম মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন ও চিন্তাকুণ্টা চেন্নাকেশাভুলু। এর মধ্যে আরিফ মহম্মদের বয়স ২৬। বাকিদের বয়স ২০-এর আশেপাশে। শুক্রবার ভোর তিনটের সময় তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তদন্তের জন্য। সেই সময়ই তাঁরা পালানোর চেষ্টা করলে তাঁদের গুলি করে মারে পুলিশ। সেই স্থানেই তাঁদের মৃত্যু হয়, যেখানে ২৬ বছরের ওই পশু চিকিৎসক তরুণীকে তাঁরা পুড়িয়ে মারে। হায়দরাবাদ থেকে ৫০ কিমি দূরে অবস্থিত ওই স্থান।
দেখুন এই খবরগুলোও: