কলকাতা: শনিবার বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সংঘর্ষে বিধ্বস্ত সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) চাপা রয়েছে চাপা উত্তেজনা। উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট (Nyajat) থানার বিভিন্ন গ্রামে পুলিশের বিশাল বাহিনী তল্লাশি চালাচ্ছে। বিজেপির (BJP) দাবি, সংঘর্ষ তাঁদের দলের পাঁচ সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে, তৃণমূলের (TMC) দাবি, তাদের দলের ৬ জন কর্মী নিখোঁজ। স্থানীয় হাসাপাতালে একজন তৃণমূল কর্মী এবং দুজন বিজেপি সমর্থকের দেহ সনাক্ত করা হয়।২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আবহে সন্দেশখালির ঘটনাই “সবথেকে বড় হিংসার ঘটনা”। রবিবার সকালে “নিখোঁজ” ব্যক্তিদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে মৃত ৩
শনিবার বিজেপির(BJP) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু দাবি করেন, তাঁদের দলের তিন কর্মী, সুকান্ত মণ্ডল, প্রদীপ মণ্ডল, এবং শঙ্কর মণ্ডলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের দলের কর্মী কায়ুম মোল্লার। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই, তাদের কর্মীরা নিখোঁজ বলে দাবি করেছে দুই দলই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্য এবং জনসভার মধ্য দিয়ে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি(BJP) নেতা মুকুল রায়। রবিবার তাঁর নেতৃত্বে, সাংসদদের সাতজনের বিজেপির একটি প্রতিনিধিদলের সন্দেশখালি(Sandeshkhali) যাওয়ার কথা। তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে সংঘর্ষে “পাঁচজন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং অনেকজন নিখোঁজ”।
সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন তৃণমূলের বড় ভুল ছিল: মুকুল রায়
দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে বিজেপি নেতা মুকুল রায় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ। অন্যদিকে, রাজ্যের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, তাঁদের দল মনে করছে, “নিখোঁজ কর্মীদের” মৃত্যু হয়েছে।জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বে সন্দেশখালিতে যান একটি প্রতিনিধি দল। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, “আমাদের মনে হয়, ৬জন তৃণমূল কর্মীকে মেরে ফেলা হয়েছে এবং তাঁদের দেহ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের দেহ”। তাঁর অভিযোগ, মিছিল চলাকালীন তৃণমূল সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি(BJP) কর্মীরা এবং অশান্তি পাকাতে বাইরে থেকে লোক আনা হয়েছে।
রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আরও দাবি, নিজেদের লোকের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে বিজেপি কর্মীদের, তাঁদের মৃত্যুর জন্য কোনওভাবেই দায়ী নয় তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর দল “শান্তি ফেরাতে” চায় বলে জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পাশাপাশি জেলা নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া কোনও সভা বা মিছিল করতে দলীয় কর্মীদের নিষেধ করেছেন তিনি।
তৃণমূল ও বিজেপি, দু তরফেই সূত্র মারফৎ জানা গেছে, বিজেপির পতাকা সরানো কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সংঘর্ষে বহু দোকান এবং বাড়ি ভাঙচুর হয় ।