দক্ষিণ ভারতে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা, এমনই গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে সেনাহিনী, সোমবার এমনটাই জানিয়েছে এক পদস্থ আধিকারিক, তিনি জানিয়েছেন, গুজরাটের স্যার ক্রিকে পরিত্যক্ত নৌকার সন্ধান মিলেছে। পাকিস্তানী কম্যান্ডো বাহিনী ভারতের জলপথ ব্যবহার করে কছ উপকূল এলাকাকে ব্যবহার করে এবং সমুদ্রপথের মাধ্যমে প্রবেশ করে গুজরাটে জঙ্গি হামলা চালাতে পারে, আগেই এমন গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল ভারত, তারপর হাইঅ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল, এক সপ্তাহ পরেই আবারও এমন তথ্য পেলেন গোয়েন্দারা। সাউদার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার, কম্যান্ডিং, এসকে সাইনি বলেন, “আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি যে, দক্ষিণ ভারত এবং ভারতের উপূকলবর্তী এলাকায় জঙ্গি হামলা হতে পারে। কিছু পরিত্যক্ত নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে স্যার ক্রিক এলাকা থেকে”।
তিনি জানান, সতর্কতার কথা মাথায় রেখে, স্যার ক্রিক এলাকায় পদক্ষেপ করেছে সেনাবাহিনী।
সেনা আধিকারিকের মন্তব্যের পরেই, কেরালের সমস্ত জেলা পুলিশ প্রধানকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন কেরলের পুলিশ প্রধান, বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বাসস্ট্যান্ড, বিমানবন্দর, এবং শপিং মলের মতো জনবহুল এলাকাগুলিতেও নজর রাখার নির্দেশ দিয়ছেন তিনি।
গত মাসে, ভারতের সবচেয়ে বড় বন্দর আদানি পোর্ট এবং লজিস্টিক্সের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, “উপকূলরক্ষীবাহিনীর ঘাঁটি থেকে তথ্য পাওয়া গিয়েছে যে, কছ এলাকা ব্যবহার করে ভারতের অংশে ঢুকে পারতে পারে পাকিস্তানি কম্যান্ডো, গুজরাটে সাম্প্রদায়িক হিংসা বা জঙ্গি হামলা করতে সমুদ্রপথ ব্যবহার করতে পারে তারা”।
এর আগে নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং গোয়েন্দা তথ্য তুলে ধরে দাবি করেন, জলের নীচ দিয়ে হামলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ।
গতমাসে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে ভারত, তারপরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনা ছড়ায়। এই সিদ্ধান্তের পর, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি ঘটায় পাকিস্তান এবং ভারতের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। ভারতের তরফে জানানো হয়, কাশ্মীর নিয়ে করা পদক্ষেপ অভ্যন্তরীণ বিষয়।