தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Mar 01, 2019

মাসুদ আজহার আছে পাকিস্তানেই, জানালেন পাক বিদেশমন্ত্রী

মাসুদ আজহার যে তার সমস্ত কাজকর্ম পাকিস্তান থেকেই চালায় সেই ব্যাপারটি এই প্রথম পাকিস্তানের সরকার স্বীকার করে নিল। সিএনএন’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, মাসুদ আজহার প্রচণ্ড অসুস্থ।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

এই প্রথম পাকিস্তান স্বীকার করে নিল ওই দেশে মাসুদ আজহারের উপস্থিতি।

Highlights

  • প্রবল অসুস্থ মাসুদ আজহার, জানালেন পাক বিদেশমন্ত্রী
  • কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, জানতে চাওয়া হয় বিদেশমন্ত্রীর কাছে
  • তিনি বলেন, এখনও তেমন যথাযথ 'প্রমাণ' পাইনি ওর বিরুদ্ধে
নিউ দিল্লি:

জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান ও গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই আছে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি শুক্রবার জানালেন এই কথা। মাসুদ আজহার যে তার সমস্ত কাজকর্ম পাকিস্তান থেকেই চালায় সেই ব্যাপারটি এই প্রথম পাকিস্তানের সরকার স্বীকার করে নিল। সিএনএন'কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, মাসুদ আজহার প্রচণ্ড অসুস্থ। এতটাই অসুস্থ যে, এই মুহূর্তে ঘরের বাইরে বেরোনোর ক্ষমতা নেই তার। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই আছে। অন্তত আমি যতদূর জানি। কিন্তু, সে খুব অসুস্থ। এতটাই অসুস্থ যে, বাড়ির বাইরে পা রাখার ক্ষমতা নেই তার। আমার কাছে এটুকু তথ্যই রয়েছে”

কিন্তু, মাসুদ আজহার যদি পাকিস্তানেই থাকে, তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শাহ মেহমুদ কুরেশি সেই কথাই বলেন, যা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান বলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সেটি হল- আমাদের হাতে ওর বিরুদ্ধে কোনও যথাযথ প্রমাণ নেই।

“যদি ওরা (ভারত) আমাদের হাতে যথাযথ প্রমাণ তুলে দেয়, যা পাকিস্তানের আদালত গ্রাহ্য করে নেবে- দিনের শেষে আমাদের মাসুদ আজহারকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে তার স্বপক্ষে প্রমাণ থাকা চাই- ভারতের কাছে যদি প্রকৃত অর্থেই নিখঁত প্রমাণ থাকে মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে, তাহলে তারা সেটা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুক। যাতে আমরা মানুষকে এবং পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থাকেও তা নিয়ে বোঝাতে সক্ষম হই”, বলেন পাকিস্তানি বিদেশমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, “বিচারবিভাগীয় পদ্ধতিটি যথাযথভাবে চলুক, তেমনটাই আমরা চাই”।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে সংসদে হানা দিয়েছিল মাসুদ আজহারের নেতৃত্বাধীন জইশ-ই-মহম্মদ। ২০১৬ সালে জইশ-ই-মহম্মদ ফের হানা দেয় পাঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বেসক্যাম্পে। ২০১৬ সালেই তারা হানা দেয় কাশ্মীরের উরিতে সেনাশিবিরে। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে তাদের আত্মঘাতী হামলায় শহিদ হন ৪০ জনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ান।

Advertisement

পুলওয়ামার হামলার পর গোটা দেশ রাগে ফুঁসছিল। ভারতও রীতিমত রাষ্ট্রপুঞ্জকে চাপ দিয়ে মাসুদ আজহারকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী'-দের তালিকাভুক্ত করে। আন্তর্জাতিকমহলে ভারতকে এই লড়াইয়ে সমর্থন জানিয়েছে প্রায় সমস্ত দেশ। গত প্রায় পাঁচ দশকের মধ্যে এই প্রথমবার ভারত বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান পাঠায় পাকিস্তানি ভূখণ্ডে। যা এয়ার স্ট্রাইক চালিয়ে ধূলিসাৎ করে দেয় বালাকোটের জইশের সবথেকে বড় ঘাঁটিটি।

Advertisement