লড়াইটা যে শুধুই মতাদর্শের তা বোঝাতে বেশ কিছু উদাহারণ দেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
কলকাতা: সন্ত্রাসবাদকে পশ্চিম দুনিয়ার খ্রিষ্টান দেশের সঙ্গে মধ্য প্রাচ্যের ইসলামিক দেশের লড়াই হিসেবে দেখা অনুচিত। এমনটাই মনে করেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরান। কলকাতায় একটি বণিক সভার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার ক্যামেরান এ কথা বলেন। তাঁর মতে চরমপন্থায় বিশ্বাস করে এমন হাতে গোনা কিছু মানুষই রয়েছে সন্ত্রাসবাদের নেপথ্যে।
এ প্রসঙ্গে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনাতেও সরব হন ক্যামেরান। তিনি বলেন, ‘ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষণ শুনলেই মনে হয় তিনি ব্যাপারটাকে মধ্য প্রাচ্যের সঙ্গে পশ্চিম দুনিয়ার লড়াই বলে মনে করেন। এই ধারণা ভ্রান্ত। আমার মনে হয় যারা ইসলামের অপব্যাখ্যা করছে এটা তাদের বিরুদ্ধে মতাদর্শগত লড়াই।
বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি কেন তৈরি হল তারও একটা ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন তিনি। তাঁর মনে হয় ওই সমস্ত দেশের বেশিরভাগ মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্মীয় আচার আচরণ পালন করতে সচেষ্ট। কিন্তু অল্প সংখ্যক মানুষ ধর্মকে বিকৃত ভাবে ব্যাখ্যা করছে। বাকিদের মধ্যেও সঞ্চারিত হচ্ছে সেই মনোভাব । এই অংশটিকে খুঁজে বের করাই মূল কাজ বলে মনে করেন ক্যামেরান। লড়াইটা যে শুধুই মতাদর্শের তা বোঝাতে বেশ কিছু উদাহারণ দেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে যে পারস্পরিক সমন্বয়ই সবচেয়ে বড় বিষয় হতে চলেছে তাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ভারত ও ব্রিটেনের মতো দেশে বহুত্ববাদী সংস্কৃতি আছে , বিভিন্ন ধর্মের সহাবস্থানও আছে। তাই আগামী দিনে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখেই পথ চলতে হবে আমাদের।
আলোচনায় উঠে আসে ইরাকের প্রসঙ্গ। ক্যামেরান মনে করেন, ইরাক এমন একটি দেশ যেখানে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসকে মদত করা হয়। ওই দেশের মাটিতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়ে কিছু মানুষকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়। কাউকে আবার দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষ ছড়ানোর কাজ। তবে এর বাইরে এমন অনেক মানুষ আছে যারা শান্তি চায়। তাদের সামনে রেখেই সন্ত্রাসবাদ পরাজিত করা সম্ভব।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)