সন্ত্রাসীদের জঙ্গলের মধ্যে বেঁচে থাকা, হামলা করার কৌশল, যোগাযোগ, জিপিএস, মানচিত্র পাঠের প্রশিক্ষণও দেওয়া হত
নিউ দিল্লি: পাকিস্তানের জইশ-ই-মোহাম্মদের সন্ত্রাসবাদীরা (Jaish-e-Mohammed terrorists), যাঁদের পাকিস্তানের বালাকোট ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত তাঁরা জম্মু ও কাশ্মীরে হামলা চালানোর জন্য চারটি বড় অনুপ্রবেশের পথ বেছে নিয়েছিল বলে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা। পাকিস্তান-দখলকৃত কাশ্মীরের নিলাম উপত্যকায় অবস্থিত কেল জম্মু ও কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের জন্য সন্ত্রাসীরা জন্য লঞ্চ পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করত। ভারতে ঢুকতে জইশের সন্ত্রাসীরা যে যে পথ ব্যবহার কর তা হল, কুপওয়ারা জেলার বালাকোট-কেল-ধুন্দিয়াল, কুপওয়ারার মাগাম জঙ্গলের বালাকোট-কেল-কাইনথাওয়ালি, কুপওয়ারাতে বালাকোট-কেল-লোলাব এবং বালাকোট-কেল-কাচামা-ক্রালপোরা।
নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বন্ধ সমস্ত স্কুল, ফের যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান
জেইএম সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ কোর্স করত, যেমন ডাউরা-ই-খাস নামে পরিচিত তিন মাস অগ্রিম যুদ্ধ কোর্স, ডাউরা-আল-রাদ নামে অগ্রিম সশস্ত্র প্রশিক্ষণ কোর্স এবং একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচী রিফ্রেশার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বালাকোট ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের AK-47, PIKA, LMG, রকেট লঞ্চার, UBGL এবং গ্রেনেডের মতো অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত।
অস্ত্রচালনার মৌলিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের জঙ্গলের মধ্যে বেঁচে থাকা, হামলা করার কৌশল, যোগাযোগ, জিপিএস, মানচিত্র পাঠের প্রশিক্ষণও দেওয়া হত। কর্মীদের সাঁতার, তরোয়াল যুদ্ধ, ঘোড়ায় চড়ার নানা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের সময়কালে, জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রচার ভিডিওগুলি দেখিয়ে নতুন সদস্যদের উদ্বুদ্ধ করা হত। রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে নানা রকম কাজ শেখানো হত নতুনদের। যেমন সাংগঠনিক কাজের প্রচার, জেইএম ক্যাডারদের পরিচালিত কার্যক্রম সম্পর্কে অন্যকে বোঝানো। একে রাইফেল ও ছোট অস্ত্র ব্যবহারের জন্য সাত দিনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে সন্ত্রাসবাদী কর্মীদের উৎসাহিত করা হত। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুনহার নদীর তীরে অবস্থিত ক্যাম্পটি আরেকটি সন্ত্রাসী দল হিজবুল মুজাহিদিনও ব্যবহার করত।
সাইন বোর্ডে করাচি কেন? বেঙ্গালুরুতে ‘করাচি বেকারি' উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ফোন!
একটি সূত্রের খবর, কমপক্ষে ৩২৫ জন সন্ত্রাসী ও ২৫ থেকে ২৭ জন প্রশিক্ষক ওই সময় ক্যাম্পে ছিলেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে সিআরপিএফের একটি বাস উড়িয়ে ৪০ জন জওয়ানকে হত্যা করে ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল জইশ-ই-মোহাম্মদ। এই ক্যাম্পে জলের মধ্যে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যবস্থা ছিল।
বালকোট শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, এই ক্যাম্প জেইএম এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল এবং এখানে তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য নতুন নিয়োগ এবং সুবিধাদি দেখার সমস্ত পরিকাঠামোই ছিল বলে সূত্রের খবর। জেইএম প্রতিষ্ঠাতা ও সন্ত্রাসবাদীদের মাথা মাসুদ আজহার ও অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী নেতারা বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে ‘অনুপ্রেরণামূলক বক্তৃতা'ও দিতেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)