This Article is From Dec 24, 2019

‘‘ধন্যবাদ, কিন্তু...’’: এনআরসি নিয়ে রাহুল গান্ধিকে টুইট প্রশান্ত কিশোরের

প্রশান্ত কিশোরের তীব্র আপত্তির কারণেই দলের প্রধান নেতা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সরকারি ভাবে এনআরসির বিরোধিতা করেছেন জোটসঙ্গী বিজেপিকে হতাশ করেই।

‘‘ধন্যবাদ, কিন্তু...’’: এনআরসি নিয়ে রাহুল গান্ধিকে টুইট প্রশান্ত কিশোরের

সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে নাগরিক আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য রাহুল গান্ধিকে ধন্যবাদ দিলেন প্রশান্ত কিশোর।

সিএএ-বিরোধী (CAA) আন্দোলনে প্রতিবাদ সভা করেছে কংগ্রেস (Congress)। সোমবার নয়াদিল্লির রাজঘাটের সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধি, দলের সাংসদ রাহুল গান্ধি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই সভায় ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা পড়ে শোনান দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই প্রতিবাদসভাকে ‘সত্যাগ্রহ' নাম দিয়েছে কংগ্রেস। এবার প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) রাহুল গান্ধিকে (Rahul Gandhi) টুইট করে আহ্বান জানালেন এনআরসি-র বিষয়ে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ করতে। তিনি রাহুলকে অনুরোধ করেন, কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধি ঘোষণা করুন, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে এনআরসি করতে দেওয়া হবে না।

জনতা দল ইউনাইটেডের সহ সভাপতি প্রশান্ত কিশোর টুইটে লেখেন, ‘‘সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে নাগরিক আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য রাহুল গান্ধিকে ধন্যবাদ। কিন্তু আপনি জানেন, জনতার প্রতিবাদের পাশাপাশি আমাদের প্রয়োজন রাজ্যগুলিও এনআরসিকে না বলুক। আমরা আশা করি আপনি কংগ্রেস সভাপতিকে বোঝাতে সক্ষম হবে, সরকারি ভাবে ঘোষণা করার জন্য, যে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে কোনও এনআরসি করতে দেওয়া হবে না।''

তিনি আরও লেখেন, ‘‘কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরা কী বলছেন সেটা আমাকে জানানোর চেষ্টা না করে দয়া করে কংগ্রেস সভাপতির সরকারি বিবৃতি শেয়ার করুন, যেখানে ঘোষণা করা থাকবে কংগ্রেস শাসিত কোনও রাজ্যেই এনআরসি হবে না। আমি দুঃখিত সিএবি-র বিরুদ্ধে ভোট দিলেই এটাকে থামানো যাবে না। রাজ্যগুলি এনআরসিকে না করে দিলে থামানো সম্ভব হবে। সুতরাং সংশয়ে থাকবেন না।''

প্রসঙ্গত, প্রশান্ত কিশোরের তীব্র আপত্তির কারণেই দলের প্রধান নেতা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সরকারি ভাবে এনআরসির বিরোধিতা করেছেন জোটসঙ্গী বিজেপিকে হতাশ করেই।

সোমবারই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি জানিয়ে দিয়েছেন তিনি তাঁর রাজ্যে এনআরসি করতে দেবেন না। তিনি যোগ দিলেন সেই মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় যাঁরা এরই মধ্যে এনআরসির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তাঁকে নিজেদের রাজ্যে প্রয়োগ না করতে দেওয়ার ব্যাপারে ঘোষণা করে দিয়েছেন।

অন্য যে মুখ্যমন্ত্রীরা এনআরসিকে নাকচ করেছেন তাঁদের অন্যতম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন নীতীশ কুমার (বিহার), নবীন পট্টনায়েক (ওড়িশা), অমরিন্দর সিংহ (পাঞ্জাব), কমল নাথ (মধ্যপ্রদেশ), অশোক গেহলত (রাজস্থান) ও পিনারাই বিজয়ন (কেরালা)।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে এনআরসিকে জুড়ে দেওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে।

নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈন শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সমালোচকদের আশঙ্কা এই আইন ও এনআরসির যৌথ প্রয়োগে উপযুক্ত নথি না থাকা মুসলিমদের এই দেশ থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করে হতে পারে। 

.