কলকাতা: বহু সতর্কবাণী, চোখরাঙানি, সুপ্রিম কোর্টের রায়- কিছুতেই চিঁড়ে ভিজল না। কলকাতায় কালীপুজো ও দিওয়ালির বাতাস যে তিমিরে থাকত প্রতি বছর, সেই তিমিরেই রয়ে গেল এবারেও। শুধু আলোর বাজি নয়, দেদার শব্দবাজি ফাটল গোটা শহরজুড়েই এই দু'দিন। পরিবেশবিদরা জানালেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বাজি ফাটানোর বেঁধে দেওয়া সময়ের যে বেড়া, রাত আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ছিল, তাকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে মনের আনন্দে বাজি জ্বালিয়ে ও ফাটিয়ে গিয়েছে শহরবাসী। যার ফলে বায়ুতে দূষণের সূচক ২.৫ থেকে সোজা পৌঁছে গিয়েছে ৩৩০'এ। রবীন্দ্রভারতী স্বয়ংক্রিয় বায়ু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বৃহস্পতিবার সকাল ১১'টার সময় এই হিসেবটি দেয়। অন্যদিকে মধ্য কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের স্বয়ংক্রিয় বায়ু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে দূষণের সূচক পৌঁছে গিয়েছে ৩৭৩'এ।
মার্কিন কনস্যুলেটের বায়ু মানের সূচকও জানিয়েছে, এই মুহূর্তে শহরবাসীরা চরমতম অস্বাস্থ্যকর বাতাস থেকে শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ করছেন।
যদিও, মার্কিন কনস্যুলেট থেকে এই কথাও জানানো হয়েছে যে, কনস্যুলেট সংলগ্ন হো চি মিন সরণীর বাতাসে দূষণের পরিমাণই তাঁদের যন্ত্র ধরতে পারে কেবল।
যদিও, এই ব্যাপারে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এখনই সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
“কালীপুজো ও দিওয়ালির পর টানা এক সপ্তাহ ধরে আমাদের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখা হবে। তারপরই আমরা সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসারে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করব”, বলেন কল্যাণ রুদ্র।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি আরও জানান, “এই মুহূর্তে আবহাওয়ার যে রকম পরিস্থিতি, বায়ুর গতি যেরকম কম, তাতে নিষিদ্ধ বস্তুগুলি এখনও বায়ুর কণার মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেগুলি এখনও বাইরে বেরিয়ে যেতে পারেনি”।
যদিও, পুরো বিষয়টি নিয়েই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে একহাত নিয়েছেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। তাঁর কথায়, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। নিষিদ্ধ বাজিগুলো কীভাবে জেলা থেকে এসে শহরের বাজারে ছেয়ে গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)