Read in English
This Article is From Jun 04, 2020

সেই বাইসাইকেল! অমর্ত্য সেনকে নোবেল পেতে যে বাহন সাহায্য করেছিল

সামাজিক উন্নয়নের বিচারে দারিদ্র কল্যাণ গবেষণার ওপর অবদান রাখার জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন অমর্ত্য সেন

Advertisement
অফবিট Edited by

এই বাইসাইকেলে চড়ে গ্রামীণ ভারত ঘুরে দেখেছেন অমর্ত্য সেন। সেই পরিভ্রমণ গবেষণার কাজে অব্যার্থ ছিল।

সুইডেনের নোবেল মিউজিয়ামে একটা সাইকেল (Amrtya Sen's Bi-Cycle in Nobel Museum) আছে। নোবেল কমিটির দাবি এই সাইকেলে চড়ে গ্রাম ভারত ঘুরতেন অমর্ত্য সেন।আর সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিজের গবেষণাপত্রে তুলেছিলেন। যে গবেষণার ভিত্তিতে ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন অমর্ত্য সেন। বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে করা এক পোস্টে এই দাবি করেছে সুইডেনের নোবেল (Sweeden's Noble Committee) কমিটি। ৩ জুন, বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস। সেই দিন উদযাপন করতে গ্যালারিতে রাখা সেই সাইকেলের ছবি সোশাল মাধ্যমে পোস্ট করে নোবেল কমিটি। সেই পোস্টে নোবেল কমিটি লিখেছেন, "বাইসাইকেল অর্থবিজ্ঞানের চাবিকাঠি নয়। কিন্তু অমর্ত্য সেনের অর্থনীতির গবেষণায় এই বাইসাইকেল বড় ভূমিকা পালন করেছিল।" 

জানা গিয়েছে, সমাজের সবচেয়ে নিচুস্তরকে নিজের গবেষণার বিষয়বস্তু বানিয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। গবেষণার খাতিরে পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তানের বাহ্যিক পার্থক্য তুলে ধরার চেষ্টা করতেন মিস্টার সেন।   এর জন্য একজন সহকারী নিয়োগ করেছিলেন অমর্ত্য সেন। তাঁর কাজ ছিল গ্রাম বাংলার কন্যা ও পুত্র সন্তানের ওজন পরিমাপ করে অমর্ত্য সেনকে সাহায্য করা। কিন্তু এতে প্রতিবন্ধকতাও ছিল। অনেক শিশু চাইতেন না ওজন করাতে। কামড়ে-আঁচড়ে দিত অমর্ত্য সেনের নিয়োগ করা সেই সহকারীকে। 

নোবেল কমিটির এক কর্তা ইকোনমিক টাইমস কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "প্রথমে অমর্ত্য সেন তাঁর ছাত্রদের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু ক্যাম্পাস ছেড়ে ফিল্ড ওয়ার্ক করার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা। এরপরেই নিজেও সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন গ্রাম ভারত ভ্রমণে। তৃণমূল স্তর থেকে জোগাড় করেছেন গবেষণা সম্বন্ধীয় তথ্য। যে পরিসংখ্যান পরেতাকে মানব উন্নয়ন সূচক নির্ধারণ করতে সাহায্য করেছে।" সামাজিক উন্নয়নের বিচারে দারিদ্র কল্যাণ গবেষণার ওপর অবদান রাখার জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন অমর্ত্য সেন। 

Advertisement
Advertisement