কলকাতা: এর আগেও একাধিকবার সরব হয়েছেন যে বিষয়টি নিয়ে, তোপ দেগেছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে, সেই বিষয়টি নিয়েই ফের আরেকবার মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে সরকারের 'হাতের পুতুল' বানিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। এই কেন্দ্রীয় সংস্থাটির যথেচ্ছভাবে অপব্যবহার করছে গেরুয়া শিবির। এই মুহূর্তে দেশে 'তুমুল জরুরি অবস্থা' চলছে বলে দাবি জানিয়ে মমতা নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধেও তোপ দেগে বলেন বিজেপি এই ইস্যুটি নিয়েও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।
"এটা তো প্রথমবার। সিবিআইয়ের অপব্যবহার দীর্ঘদিন ধরে করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি। সিবিআই এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিজেদের হাতের পুতুল করে রাখতে চাইছে ওরা। এবং, এই পুরো কাজটাই করতে চাইছে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে। বিজেপি চায় মোদীর ভাষায় কথা বলুক সিবিআই", অলোক বর্মাকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এই কথা বলেন মমতা।
তাঁর কথায়, বিজেপি নেতারা যা যা বলছে, সিবিআই ঠিক সেই কাজগুলোই করে যাচ্ছে। এই একই জিনিস রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াও করেছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালের ব্যাচের আইপিএস অলোক বর্মাকে বৃহস্পতিবার সিবিআই অধিকর্তার পদ থেকে সরিয়ে দমকল বিভাগের অধিকর্তা করে দেওয়া হয়।
নাগরিকত্ব বিলের প্রসঙ্গে মমতা বলেন, "লোকসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তার সুযোগ নিয়েই জোর করে বিলটা পাশ করিয়েছে ওরা। অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে এবং তাদের যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকে, তাহলে তারাও তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে"।
তিনি বলেন, "গুজরাট থেকে বিহারিদের তাড়িয়েছে বিজেপি। অসম থেকে তাড়িয়েছে বাঙালিদের। ওরা যদি মানুষকে নিয়ে সত্যিই ভাবত, তবে আমার কিছু বলার ছিল না। কিন্তু, ওরা একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কিছু মানুষকে আঘাত করার লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করে চলেছে"।
১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সমাবেশে কারা আসবেন এই প্রশ্নের উত্তরও নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই দেন মমতা। তিনি বলেন, "অখিলেশ যাদব, চন্দ্রবাবু নায়ডু, তেজস্বী যাদবরা আসবেন বলে আমাকে কথা দিয়েছেন। অরুণ শৌরি, যশবন্ত সিনহা এবং শত্রুঘ্ন সিনহাও থাকবেন মঞ্চে"।