৩৫০ কেজি বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে এই হানা হয়।
নিউ দিল্লি: বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সিআরপিএফের কনভয়ে জঙ্গিহানায় ৪০ জন জওয়ান শহিদ হন। আহত জওয়ানের সংখ্যাও বহু। একটি টুইট করে আধাসামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই নারকীয় হানার ঘটনার ব্যাপারে তারা একটা কথাই জানিয়েছে- 'ভুলব না এবং ক্ষমা করব না'।বৃহস্পতিবারের এই নারকীয় হানার দায় স্বীকার করে নিয়েছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। সিআরপিএফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, "আমাদের মৃত ভাইদের রক্তের দাম ওদের দিতেই হবে। এই ঘৃণ্য জঙ্গি হানার প্রতিশোধ নেওয়া হবে। মৃত জওয়ানদের উৎসর্গ করে একটি গ্রাফিকও পোস্ট করে সিআরপিএফ"।
স্মরণকালের মধ্যে সেনাবাহিনীর ওপর সবথেকে ভয়াবহ আক্রমণের ঘটনাটি ঘটে গেল বৃহস্পতিবার। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সিআরপিএফের বাসে ভয়াবহ জঙ্গিহানার ফলে শহিদ হলেন প্রায় ৪০ জনের কাছাকাছি সেনা। আহতের পরিমাণও প্রায় সমান। শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। অবন্তীপুরায় এই হামলার দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেন প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারাই। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, "অত্যন্ত কাপুরুষের মতো কাজ এটা। এতজন সেনার শহীদ হয়ে যাওয়া মেনে যাওয়া না। আমি তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আহতদেরও দ্রুত আরোগ্য কামনা করি"। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি টুইট করে বলেন, "যারা এই অপরাধ ঘটাল, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। এমন শাস্তি, যা ওরা কখনও ভুলতে পারবে না। এর আগে ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসে উরির সেনা ছাউনিতে আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই সময় শহিদ হন ১৯ জন সেনা। আজকের হামলায় এখনও পর্যন্ত সেনাদের মৃত্যুর সংখ্যা সেই হামলাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে"।
পুলওয়ামায় শহিদ সেনাদের কফিন কাঁধে নিলেন রাজনাথ সিং
যে গাড়ি বিস্ফোরণের ফলে অন্তত এতজন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হল, সেই গাড়িটি চালাচ্ছিল জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি আদিল আহমেদ দার। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই কথা জানানো হয়। কাকাপোরার বাসিন্দা আদিল আহমেদ দার গত বছরই এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে নিজের নাম লেখায়। তার অন্য দুটি নাম হল ' আদিল আহমেদ গাড়ি টকরানেওয়ালা' এবং 'ওয়াকস কম্যান্ডো অব গুন্দিবাগ'। প্রায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে নিয়ে যাচ্ছিল যে বাসটি সেই বাসটিতে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই স্করপিও নিয়ে হানা দেয় আদিল আহমেদ দার। এই ভয়াবহ হানার পরেই তার ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হতে থাকে। ২০১৬ সালের উরিতে হানার পর এত ভয়াবহ জঙ্গিহানা সেনার ওপরে এই দেশ আর দেখেনি।