সূত্রের খবর সোমবার রাতের সংঘর্ষের পর তাঁবু গোটানো শুরু করেছে চিনা সেনা।
হাইলাইটস
- তাঁবু উৎখাত ঘিরে সংঘর্ষ গালোয়ানে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে দাবি
- সেই উৎখাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবু
- ৬ জুনের সামরিক বৈঠক মেনে সেই এলাকা থেকে তাঁবু গোটানোর কথা ছিল লাল ফৌজের
নয়াদিল্লি: চার দশক পর আবার কেন রক্তাক্ত হল লাদাখ উপত্যকা (Ladakh Indo-China standoff)? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে বসে প্রাক্তন সেনাকর্মীরা বলছেন, লালফৌজের চোখে চোখ রেখে কথা, সহ্য করতে পারেনি চিন। তাই কিছুটা পালটা দিতে এই সংঘর্ষ বাঁধিয়েছে। ৬ জুনের সামরিক স্তরের বৈঠকের পর চিন সেনার অধিগৃহীত জমি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই কাজ খতিয়ে দেখতে শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর (Martyred Colonel) নেতৃত্বে এলাকা পরিদর্শনে বেরোয় ভারতীয় বাহিনী। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রায় ১০০ জন জওয়ান। এর পরেই তাঁরা গালোয়ান উপত্যকা এলাকা গিয়ে দেখে সেখানে দিব্যি তাঁবুতে ঘাঁটি গেড়ে বসে লালফৌজ। তাঁদের বের করে সেই তাঁবু ভাঙতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কিছু তাঁবুতে। এতেই বিপদ বুঝে কাঠের তক্তা, লোহার রড, কাটা তার জড়ানো বাটাম-সহ আরও বাহিনী জড়ো হয় গালোয়ান এলাকায় (Galowan Clash)। শুরু হয় দু'পক্ষের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ।
গালওয়ান নদীতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে অনেক জওয়ানের।
এর পরেই ওই এলাকায় দু'পক্ষের তরফেই বাড়ানো হয় মোতায়েন। সামরিক অস্ত্রের বদলে বাটাম, রড, কাঁটাতার জড়ানো তক্তা নিয়ে হামলা চালায় একে অপরের প্রতি। ছ'ঘণ্টা ধরে চলেছে সেই সংঘর্ষ। সেই হামলায় অনেক গালওয়ান নদীতে পড়ে ভেসে যান। অনেকে আহত হলেও, হিমাঙ্কের নীচে ঠাণ্ডার জেরে মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় তরফে দাবি, শহিদ ২০ জন। পাশাপাশি লালফৌজের তরফে হতাহতের সংখ্যা ৪৫।