পোলার স্যাটেলাইট ভেহিকল লঞ্চের সূচনা হবে ১ এপ্রিল
নিউ দিল্লি: অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল নিয়ে ভারতের যে সাম্প্রতিক পরীক্ষা তা কি আগামীকালের পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের সূচনার কোনও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে? মিশন শক্তির অংশ হিসাবে যে অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইলের সূচনা করা হয়েছে তা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ কিলোমিটার ওপরে নতুন ধ্বংসাবশেষের সৃষ্টি করেছে। শ্রীহরিকোটা থেকে যে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল আগামীকাল যাত্রা শুরু করবে, তার সবথেকে বড় বাধা হল এই ধ্বংসাবশেষগুলিই। গত ২৭ মার্চ ভারত একটি নতুন রকেট ব্যবহার করে ৩০০ কিলোমিটার উচ্চতায় একটি লাইভ উপগ্রহ ধ্বংস করার ফলে যে ৩০০ টুকরোর ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছে। মাত্র তিন মিনিট লেগেছে গোটা অপারেশনটি সম্পন্ন করতে। ওড়িশার আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে ডিআরডিও'র বৈজ্ঞানিকরা এই মারণ মিসাইলটির যাত্রার সূচনা করেন।
অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল দিয়ে একটি লো অরবিট স্যাটেলাইটকে ধ্বংস করার পর দেশবাসীর উদ্দেশে টেলিভিশনের মাধ্যমে বক্তব্য পেশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার ভারত পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল নামের একটি নতুন নজরদারি উপগ্রহের সূচনা করতে চলেছে। শত্রুপক্ষের রাডারকে খোঁজাই হবে এর মূল কাজ। এই উপগ্রহের সূচনাপর্বে এই প্রথমবার ইসরো সাধারণ মানুষকে আমন্ত্রণ জানাবে। এছাড়া, আরও একটি নতুন মিশনের সূচনা করবে ইসরো। যেখানে তিনটি কক্ষে উপগ্রহগুলিকে স্থানান্তরিত করা হবে। ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবন বলেন, “এই মিশনটি আরও বড় এবং আরও সুদূরপ্রসারী হবে বলে মনে করছি আমরা। কারণ, এটি মূলত একটি থ্রি-ইন-ওয়ান মিশন”।
গত ২৭ মার্চ ভারত প্রথম অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলের সূচনা করে। যার নাম দেওয়া হয়- মিশন শক্তি। মহাকাশে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পরেই ভারত এখন চতুর্থ ক্ষমতাধর রাষ্ট্র।
ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই নতুন পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলটি'র মাধ্যমে একটি বা দুটি বা তিনটি নয়, মোট ২৯'টি উপগ্রহের নতুন ‘জীবন'-এর সূচনা করা হবে মহাকাশে। যার সূচনা হবে আগামী ১ এপ্রিল।
শ্রীহরিকোটা থেকে এটি ৭১-তম লঞ্চ ভেহিকল মিশন হতে চলেছে ভারতের।