This Article is From Jan 24, 2020

"বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে Narendra Modi বিভাজন সৃষ্টি করছেন": দ্য ইকোনমিস্ট

দ্য ইকোনমিস্ট-এর সাম্প্রতিক সংস্করণ অনুযায়ী, ভারতের ২০০ বিলিয়ন মুসলমানরা এই ভেবে ভয় পাচ্ছেন যে প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi হিন্দু রাষ্ট্র গঠন করছেন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

CAA Protests: নিবন্ধটিতে দাবি করা হয়েছে যে বিভাজন তৈরির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বিজেপি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারেন

Highlights

  • সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনা করেছে দ্য ইকোনমিস্ট
  • ভারতীয় মুসলিমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভয় পাচ্ছেন, দাবি করে তারা
  • তাদের মতে, রাজনৈতিক লাভের জন্য়েই বিভেদ তৈরি করছে বিজেপি তথা মোদি সরকার
নয়া দিল্লি:

বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলির চলতি সপ্তাহের তালিকায় ভারতকে ১০ ধাপ নিচে নামিয়ে দিয়েছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের শাখা দ্য ইকোনমিস্ট। "অসহিষ্ণু ভারত" বলে নিজেদের নতুন প্রচ্ছদ তৈরি করে সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে তারা (The Economist) । "বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে", এভাবেই তোপ দেগেছে দ্য ইকোনমিস্ট। তাদের সাম্প্রতিকতম সংস্করণ অনুযায়ী, ভারতের ২০০ বিলিয়ন মুসলমানরা এই ভেবে ভয় পাচ্ছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে গঠন করতে চাইছেন। দেশ জুড়ে যখন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন (CAA Protests) চলছে ঠিক সেই সময় সেই নাগরিকত্ব বিতর্ক তথা হিন্দুত্ববাদের ধারণাকে আরও একটু উস্কে দিল তারা।

CAA Protests: এই আন্দোলন গণতন্ত্রের শিকড়কে আরও জোরদার করবে, বললেন প্রণব মুখোপাধ্যায়

দ্য ইকোনমিস্ট-এ প্রকাশিত নিবন্ধটিতে দাবি করা হয়েছে যে বিভাজন তৈরির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বিজেপি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারেন।  গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রচ্ছদটি টুইট করে লিখেছে: "জানুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দল কীভাবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে বিপন্ন করছে।"

Advertisement

৮০ এর দশকে রাম মন্দিরের আন্দোলনের মাধ্যমে বিজেপির উত্থানকে চিহ্নিত করে প্রবন্ধটি যুক্তি দেখিয়েছে যে "নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি ধর্মীয় রাজনীতি করে বিভেদ সৃষ্টি করে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে"।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিরোধীদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। 

Advertisement

যদিও মঙ্গলবার লখনউয়ের সভামঞ্চ থেকে রীতিমতো হুঙ্কার ছেড়ে অমিত শাহকে বলতে শোনা যায় যে, যাই-ই হয়ে যাক না কেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশে প্রয়োগ করা হবেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "এই কথা সকলকে জানিয়ে রাখি, এই আইনটি কোনওভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না, যে যতই প্রতিবাদ করুন না কেন... আমরা বিরোধীদের ভয় পাই না, আমরা বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যেই জন্মগ্রহণ করেছি"।

২০১৯ সালের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ডেমোক্রেসি ইনডেক্সে ভারতকে মোট ১৬৫ টি দেশের মধ্যে ৫১ তম স্থানে রাখা হয়েছে, ১০ নম্বরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্কোর ৬.৯ পেয়েছে এই দেশ। দ্য ইকোনমিস্ট গ্রুপের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ এই পতনকে "গণতন্ত্রের উপর নাগরিক স্বাধীনতার অবক্ষয়" বলে চিহ্নিত করেছেন।

Advertisement

Advertisement

Advertisement