নিউ দিল্লি: লন্ডন নিবাসী হ্যাকার দাবি করেছিল, ভারতে ব্যবহার করা ইভিএম মেশিন সহজেই হ্যাক করে ফেলতে পারে সে। যে দাবিকে নস্যাৎ করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ওই হ্যাকারের এই বিতর্কিত দাবির পরেই ফের শুরু হয়ে গিয়েছিল ইভিএম মেশিন নিয়ে জলঘোলা। বিরোধীরা সরব হয় ইভিএম নিয়ে। গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সভায় দাঁড়িয়ে ফারুক আবদুল্লা ইভিএম মেশিন সরানোর দাবি তুলেছিলেন। তার মধ্যেই এই হ্যাকারের মন্তব্য আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করে। এনডিটিভির মুখোমুখি হয়ে নির্বাচন কমিশনের মুখ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ডক্টর রজত মুনা বলেন, ইভিএম এমনই একটি যন্ত্র, যার অন্য কোনও যন্ত্রের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান করার কোনও ক্ষমতাই নেই। ভিলাই আইআইটির ডিরেক্টর ডক্টর মুনা বলেন, সেই কারণের লন্ডনের ওই হ্যাকারের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
আগামী বাজেটে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে হতে পারে ১২ লক্ষ কোটি টাকা
পরে একটি বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে কী কী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন।
এই ইভিএম সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে কংগ্রেসকে বিদেশ থেকে টুইট করে একহাত নেন অরুণ জেটলি। বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, “কংগ্রেসের অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে। যাদের কাজই হল, পাকিস্তানের থেকে সাহায্য নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে সরানোর চেষ্টা করা। তাদের নতুন নাটক হল এই ইভিএম নিয়ে বিতর্ক তৈরি”।
সৈয়দ সুজা নামের ওই হ্যাকারের দাবি, ইভিএমের প্রযুক্তিটি পুরনো। এই মেশিন যখন তৈরি হয় তখন ওয়াইফাই বা ব্লু-টুথের মতো প্রযুক্তি ছিল না। তাই, মেশিনটিকে হ্যাক করা তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ।