১৪২.৫ মিটার মাত্র ১৩.৬২ সেকেন্ডে পেরিয়ে হইহই ফেলে দিয়েছেন শ্রীনিবাস গৌঢ়া।
হাইলাইটস
- কর্নাটকের 'উসেইন বোল্ট' হয়ে উঠেছেন শ্রীনিবাস গৌঢ়া
- ১৪২.৫ মিটার মাত্র ১৩.৬২ সেকেন্ডে পেরিয়ে এসেছেন তিনি
- ২৮ বছরের যুবককে কর্নাটক সরকার ৩ লক্ষ টাকার চেক দিয়েছে
বেঙ্গালুরু: ১০০ মিটার দৌড়তে সময় লেগেছে ৯.৫৫ সেকেন্ড! মহিষের সঙ্গে এই আশ্চর্য দৌড়ের পরে কর্নাটকের 'উসেইন বোল্ট' (Usain Bolt) হয়ে উঠেছেন শ্রীনিবাস গৌঢ়া (Srinivas Gowda)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয়তার দৌলতে কাম্বালা উৎসবের সময় কর্দমাক্ত খেতের মধ্যে দিয়ে দৌড়ে দেশজোড়া খ্যাতি এখন তাঁর। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে ১৪২.৫ মিটার মাত্র ১৩.৬২ সেকেন্ডে পেরিয়ে এসেছেন তিনি। ম্যাঙ্গালোরের কাদরিতে কর্দমাক্ত পাট খেতে তাঁকে এমন বিদ্যুদ্বেগে দৌড়তে দেখে তাজ্জব সবাই। কর্নাটকের এই কাম্বালা উৎসব ২০১৪ সালে নিষিদ্ধ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পশুদের উপরে নিষ্ঠুরতার অভিযোগেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ ছিল এই দৌড়ের ফলে পশুরা আহত হয়। তাছাড়া তাদের প্রভূত ধকলের মধ্যে দিয়েও যেতে হয়।
তবে ২০১৭ সালে আবার অনুমতি মেলে এই উৎসব পালনের। গত মাসে ওই আশ্চর্য দৌড় দৌড়ে তাক লাগান শ্রীনিবাস। তাঁর সঙ্গে দৌড়েছিল তাঁর দু'টি মোষ।
শ্রীনিবাসের খ্যাতির কথা পৌঁছে গিয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের কাছেও। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু শ্রীনিবাসের সম্ভাবনাময় দৌড়-কেরিয়ারের কথা লিখেছেন টুইট করে। জানিয়েছেন, ‘স্পোর্টস অফ ইন্ডিয়া'-তে ট্রায়াল ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে শ্রীনিবাসের জন্য।
এখানেই শেষ নয়। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ওয়াইদুরাপ্পা সম্মানিত করবেন শ্রীনিবাসকে।
NDTV-কে শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, ‘‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত। মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য আমাকে ডেকেছেন। কাম্বালার এই স্বীকৃতিতে আমি খুবই খুশি। বাল্যকাল থেকেই আমি কাদায় দৌড়নোর অনুশীলন করেছি। মহিষেরা দ্রুত দৌড়লে আমি তাদের থেকেও জোরে ছুটতে পারি। তবে এই দৌড়ে প্রধান ভূমিকা থাকে পাশে দৌড়নো মহিষগুলির। তাই আরও জোরে দৌড়নোর জন্য মহিষগুলিরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।''
২৮ বছরের যুবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৩ লক্ষ টাকার চেক। আপাতত শ্রীনিবাসের কোনও তাড়া নেই অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে দৌড়নোর ব্যাপারে।
ট্রায়াল ও প্রশিক্ষণের ব্যাপারে তাঁকে NDTV-র তরফে জানানো হয়েছিল। ভারতের ‘উসেইন বোল্ট'-এর স্পষ্ট কথা, ‘‘কাম্বালা আরও এক মাস চলবে। এরপর আমার দরকার এক মাসের বিশ্রাম। আমাদের ৩৫ বার ১৪২ মিটার দৌড়তে হয়। ব্যাপারটা যথেষ্ট কঠিন ও ক্লান্তিকর। তাই বিশ্রামের একান্তই দরকার। তারপর সিদ্ধান্ত নেব।''