১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
রাজ্যপালের উদ্দেশে টুইট করে মেহবুবা মুফতি জানান, তিনি ফোন বা ফ্যাক্সের মাধ্যমে তাঁকে জানাতে পারছেন না বলে দুঃখিত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, কংগ্রেসের ১২ এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের ১৫ জন সহ মোট ৫৬ জন বিধায়ক রয়েছেন তাঁর সঙ্গে।
সাজ্জাদ লোন রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তাঁকে চিঠিও দেন। যেখানে লেখা- "আপনি অনুমতি দিলে আমি বিজেপি বিধায়কদের আমাকে সমর্থন জানানোর অঙ্গীকারপত্র আপনাকে পাঠিয়ে দেব"।
৮৭ সদস্যের জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য লাগবে ৪৪'টি আসন। সাজ্জাদ লোন জানান, তাঁর সঙ্গে বিজেপির ২৬ জন ছাড়াও আরও ১৮ জনের বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।
রাজ্যপাল বিধানসভা ভেঙে দেওয়ায় পরামর্শ দেওয়ায় আগামী ছ'মাসের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগামী মাসেই জম্মু-কাশ্মীরে শেষ হতে চলেছে রাজ্যপালের শাসন। তারপর থেকে চলবে রাষ্ট্রপতি শাসন।
রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক দু'দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলে খবর।
বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার পর টুইট করেন ওমর আবদুল্লা। সেখানে তিনি লেখেন, "আমরা গত পাঁচ মাস ধরে বিধানসভা ভাঙার প্রস্তাব দিয়ে আসছি। আর আজ মেহবুবা মুফতি চিঠি দেওয়ার পরেই আচমকা ভেঙে দিতে হল? একেই মোটেই সমাপতন বলতে পারছি না!"
তার ঠিক পরপরই টুইট করেন মেহবুবা মুফতি। সেখানে তিনি বলেন, "আজকে প্রযুক্তির এই তুমুল অগ্রগতির যুগে রাজ্যপালের অফিসের ফ্যাক্স মেশিন কাজ করছে না, এটা ভাবাই যায় না!"
যদিও মেহবুবা মুফতির দাবিকে নস্যাৎ করে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেছেন, "আসলে কেউই সরকারটা গড়তে চায়নি। ন্যাশনাল কনফারেন্সও নয়। কংগ্রেসও নয়"
টুইট করে এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছারেনি বিজেপি। তাঁদের বক্তব্য, "পিডিপি আর কংগ্রেসের জোট তৈরি হওয়ার আগেই ভেঙে গেল"!
সংবিধানের আর্টিকল ৩৫এ নিয়ে সহমত পোষণ করেই এক জায়গায় এসেছিল পিডিপি আর কংগ্রেস।