ডিরেক্টের অলোক বর্মা এবং স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে ডেকে পাঠালেন মোদী।
হাইলাইটস
- সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে ডেকে পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
- ডাকা হল সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকেও
- রাকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই
নিউ দিল্লি:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের একদিন বাদেই সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা তাঁর সহকারী তথা সিবিআইয়ের বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিলেন। গত সপ্তাহের উইকএন্ডেই রাকেশ আস্থানাকে বহিষ্কার করার দাবি জানান অলোক বর্মা। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, দুই সিবিআই কর্তার এই যুযুধান লড়াইয়ের মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডেকে পাঠান দুই কর্তাকেই। রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ দায়ের করে সিবিআই। প্রসঙ্গত, রাকেশ আস্থানা নিজেও একদম তালিকা করে তাঁর বসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন।
কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা রাকেশ আস্থানাকে ‘দুর্নীতির চাঁই' বলে সম্বোধন করে জানান, ওঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত হওয়া উচিত।
সোমবার রাহুল গান্ধী একটি টুইট করে গুজরাটের রাকেশ আস্থানাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘নয়নের মণি' বলে অভিহিত করেন।
সোমবার সিবিআই গ্রেফতার করে দেবেন্দ্র কুমারকে। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই প্রধানের নামে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ী সতীশ সানার অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই এফআইআর করে রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে।
সতীশ সানা অভিযোগ করেন, অর্থ জালিয়াতির মামলার হাত থেকে রেহাই পেতে রাকেশ আস্থানাকে 5 কোটি টাকা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। তাঁর মধ্যে দু'কোটি টাকা তিনি দিয়েছিলেন।
দুবাই-নিবাসী ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার মনোজ প্রসাদ এই ঘুষের টাকার লেনদেনের সময় মধ্যস্থতা করেন বলে অভিযোগ।
সিবিআই অভিযোগ করেছে সোমেশ প্রসাদের বিরুদ্ধেও। সোমেশ এবং মনোজ দুজনেই প্রাক্তন র অফিসারের সন্তান।
গত অগস্ট মাসে সরকারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে রাকেশ আস্থানা বলেন, এই ঘুষের টাকাটি সিবিআই প্রধানই তাঁকে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু, তারপর রাকেশ আস্থানার ওপর দায় চাপিয়ে দেন। তার কারণ, রাকেশ আস্থানা দেশ থেকে পালানোর ব্যাপারে বাধা দিয়েছিলেন সতীশ সানাকে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়ে সতীশ সানা জানান তিনি ঘুষ দিয়েছিলেন সিবিআইয়ের কর্তা রাকেশ আস্থানাকে। তার সঙ্গে ওই চিঠিতে আরও দশটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন তিনি, যেখানে তদন্ত চলাকালীন অনেক অনিয়ম ঘটেছিল।
সিবিআইয়ের ভিতরে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল গত বছরেই। যখন সিবিআই প্রধান তাঁর সহকর্মী হিসেবে রাকেশ আস্থানার নিয়োগ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারপর থেকে তাঁদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক কখনওই স্বাভাবিক ছিল না।
Post a comment