This Article is From Dec 21, 2019

অকথ্য গালি-গালাজ! লখনউতে সাংবাদিকের দাড়ি উপড়ে নেওয়ার হুমকি পুলিশের!

দ্য হিন্দু পত্রিকার লখনউর প্রতিবেদক ওমর রশিদ। শহরে হিংসার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে শুক্রবার দু'ঘণ্টার জন্য আটক করা হয়। শহরের এক রেস্তোরাঁ থেকে ওমর ও তাঁর বন্ধুকে তুলে নিয়ে গিয়ে লকআপ বন্দি করা হয়।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ অধিকর্তার অফিস থেকে ফোন পাওয়ার পরে ছাড়া হয় Omar Rashid-কে।

লখনউ:

"বেশি কথা বললে দাড়ি উপড়ে নেব," NDTV-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এহেন পুলিশি (Lucknow police) জুলুমবাজির কাহিনিই শোনালেন লখনউর এক সাংবাদিক। দ্য হিন্দু পত্রিকার (The Hindu journalist) লখনউর প্রতিবেদক ওমর রশিদ (Omar Rashid)। শহরে হিংসার (Citizenship Amendment Act) প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে শুক্রবার দু'ঘণ্টার জন্য আটক করা হয়। শহরের এক রেস্তোরাঁ থেকে ওমর ও তাঁর বন্ধুকে তুলে নিয়ে গিয়ে লকআপ বন্দি করা হয়। দু'ঘণ্টার সেই ঘটনাক্রম এনডিটিভি-র সাক্ষাৎকরে উগরে দেন শিহরিত ওমর। তিনি বলেন, "শহরের এক রেস্তোরাঁয় আমি খবর লিখতে ব্যস্ত। আমার সঙ্গে এক বন্ধুও ছিল। ঠিক সে সময় চার-পাঁচজন সাদা পোশাকে এসে আমাদের ঘিরে ধরে। আমার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ও কে? আমি কে? এমন প্রশ্নবাণে বিব্রত করা শুরু করে। ঠিক তারপরেই আমার বন্ধুকে গাড়িতে তোলে। আমি নিজের পেশার পরিচয় দিই। সেটা শুনে ওরা আমাকে বলে আপনিও গাড়িতে উঠুন।" 

পুলিশ হেফাজতে ভীম সেনা প্রধান, দিল্লিতে আটক ৮ নাবালক সহ ৪০ জন

এর পরের ঘটনা আরও দুঃসহ। তাঁর দাবি, "থানায় নিয়ে গিয়ে আমাদের সঙ্গে যা ছিল ফোন-সহ সব কেড়ে একটা ঘরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমার বন্ধুকে মারধর শুরু করে পুলিশ। ওকে শহরের হিংসা মদত দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে নানা প্রশ্ন শুরু করে পুলিশ। আমাকেও একই অভিযোগে জড়ানো হয়। এমনকি আমি নাকি হিংসা ছড়ানোর মূল চক্রী এমন অভিযোগ তুলে জনৈক কাশ্মীরিদের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন। ওরা নাকি (কাশ্মীরিরা) এই হিংসার ঘটনায় জড়িত। প্রতিবারই আমি যখন ওদের পাল্টা প্রশ্ন করি; আমাকে গলা উঁচিয়ে "আপনি চুপ করুন" বলে শাসাতে থাকে।" ওমর আরও জানিয়েছেন, অশ্লীল ভাষায় তাঁকে বলা হয় "সাংবাদিকতা অন্য কোথাও দেখাবি। আমরা ওসব দেখতে ও শুনতে আগ্রহী নই।" এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে প্রমাণও আছে, এমন শাসানিও দেওয়া হয়। এরপর তাঁদেরকে গাড়িতে বসিয়ে সামনের ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষ, বন্ধ ইন্টারনেট, বিক্ষোভ জামিয়াতেও

সেখানে ছিলেন আরও এক পুলিশকর্তা। তিনি অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক শব্দ ব্যবহার করে তাঁকে গালিগালাজ করে দাড়ি টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। এরপর নাকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ অধিকর্তা ওপি সিং (ডিজিপি)-র অফিস থেকে ফোন পাওয়ার পরে ছাড়া হয় ওমরকে। এ বিষয়ে এনডিটিভি'র তরফে  ওপি সিংয়ের সঙ্গে কথা বলা হলে, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। 

সেদিন ওমর ছাড়াও আরও দুজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন আইনজীবী মহম্মদ শোয়েব ও প্রাক্তন আইপিএস এসআর দারাপুরি। যদিও তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কিনা, নিশ্চিত নয়। এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশে পুলিশের সমালোচনা করে ম্যাগসাইসাই পুরস্কারপ্রাপ্ত মানবাধিকার কর্মী সন্দীপ পাণ্ডে বলেন, "নিজেদের অকর্মণ্যতা ঢাকতে পুলিশ এসব করছে। ওদের জবাব দিতেই হবে আমাদের সহকর্মীরা কোথায়?"

.