৪০০ জন জনতা সুবোধ কুমার সিংহকে তাড়া করে ঘিরে ধরে গুলি করে মেরে ফেলেছিল
হাইলাইটস
- ৪০০ জন জনতা তাড়া করে গুলি করে মেরে ফেলে সুবোধ কুমার সিংহকে
- গো-হত্যাকে কেন্দ্র করে হিংসা দমন করতে যাওয়া দলের অংশ ছিলেন তিনি
- গত মাসেই গ্রেফতার করা হয় প্রশান্ত নট্টকে
লখনউ: উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে গো-মাংসকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা হিংসায় উন্মত্ত জনতার হাতে প্রায় দু'মাস আগে প্রাণ দেন পুলিশ অফিসার সুবোধ কুমার সিংহ। তাঁকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত যে ব্যক্তি, শনিবার রাতে তার বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হল সুবোধ কুমার সিংহের মোবাইল ফোনটি। বুলন্দশহরের প্রশান্ত নট্টের বাড়ি থেকে শনিবার ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ। গত ২৮ ডিসেম্বর বুলন্দশহর-নয়ডা সীমান্ত থেকে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তল্লাশির সময় প্রশান্ত নট্টের বাড়ি থেকে আরও পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। বুলন্দশহরের হিংসার ঘটনায় কোনও সূত্র পাওয়া যায় কি না ওই ফোনগুলি থেকে, তা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত মাসে প্রশান্ত নট্টকে গ্রেফতারের পর উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সে ওই হত্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে জেরার মুখে। মোবাইল ফোনের ভিডিও থেকেই প্রশান্ত নট্ট সহ আরও দুই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ। যারা সুবোধ কুমার সিংহের রিভলভারটি ছিনিয়ে নিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ সরিয়ে দেওয়া হল ছন্দা কোছর ও ভিডিওকন কর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো সিবিআই অফিসারকে
অন্য আরেক অভিযুক্ত কালুয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে গত ১ জানুয়ারি। কুঠার নিয়ে আক্রমণ করেছিল সে ওই পুলিশ অফিসারকে। তারপর সেটি দিয়ে তাঁর হাতের আঙুলগুলি কেটে ফেলে সে। আঘাত করে মাথায়।
সুবোধ কুমার সিংহের হত্যার পর এখনও পর্যন্ত মোট ত্রিশজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত যোগেশ রাজকে পুলিশ গ্রেফতার করে ২ জানুয়ারিতে।
গো হত্যাকে কেন্দ্র করে ৩ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে হিংসার সৃষ্টি হয়। প্রায় ৪০০ জন উন্মত্ত জনতা ইনস্পেকটর সুবোধ কুমার সিংহকে তাড়া করে ঘিরে ধরে গুলি করে মেরে ফেলেছিল ওইদিন। লজ্জায় মাথা হেঁটে হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশের। গর্জে উঠেছিলেন দেশের অগণিত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী। সরকার কথা দিয়েছিল, ব্যবস্থা নেওয়া হবে এর বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, যে তিনজনের নামে গো হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায়।